চন্দ্রযান থেকে সফলভাবে আলাদা হয়ে গেল ‘বিক্রম’। সোমবার, ভারতীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ মূল চন্দ্রযান থেকে আলাদা হয়ে যায় 'বিক্রম'। চাঁদের পিঠে প্রজ্ঞানকে ‘সফ্ট
ল্যান্ডিং’ করাবে এই 'বিক্রম'।
বিক্রম বর্তমানে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১৯কিমি x ১২৭ কিমি দুরে অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে যে, ইসরোর মিশন অপারেটিং কমপ্লেক্স থেকে
বিষয়টি ওপর নজর রাখছেন বৈজ্ঞানিকরা। বেঙ্গালুরুর কাছে বেয়ালালু থেকে টেলিমেন্ট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে চলছে পর্যবেক্ষণ।
গবেষণার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হচ্ছে ইন্ডিয়ান ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
‘প্রজ্ঞান’ নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে যাতে সঠিকভাবে অবতরণ করতে পারে বিক্রম, তার জন্য মঙ্গলবার একটি ছোট যান্ত্রিক কৌশল প্রয়োগ করবেন বৈজ্ঞানিকরা।
এদিন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চাঁদের মাটিতে নামার আগে বেশ কয়েকটি যান্ত্রিক কৌশল প্রয়োগ করবে ইসরো, যাতে বিক্রম খুব ধীরে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধের মাটিতে অবতরণ করতে
পারে। চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের আলো আনুপাতিক হারে বেশ কম পৌছায়, আর সে কারণে দক্ষিণে তাপমাত্রা অনেকটাই কম।
চাঁদের পৃষ্ঠের বালি যথেষ্ট পাথুরে এবং ধারালো । ধীর গতীতে বা সফ্ট ল্যান্ডিং করতে না পারলে অনিক বেশি ধুলো উড়বে। ফলে তাতে ‘বিক্রমে’র গায়ে পাথরের আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে। আঘাতের পরিমাণবেশী হলে বিক্রমের দরজা খুলে ‘প্রজ্ঞান’ অবতরণ করবে না। আর ‘প্রজ্ঞান’ অবতরণ না করলে সম্পূর্ণ মিশনটি ব্যর্থ হয়ে যাবে।
তাই 'বিক্রমে'র অবতরণ ধীর গতিতে সম্পন্ন হওয়া খুব জরুরী বলে জানালেন কে শিবন। মিশনটি সফল হলে আমেরিক, রাশিয়া ও চিনের পর ভারতই হবে চতূর্থ দেশ যারা চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে গবেষণা চালাবে।
আগামী ৭ তারিখ চাঁদের পিঠে নামতে পারে 'বিক্রম'।