ফলের খোসার গুণ

শরীর ভালো রাখতে শুধু নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলেই চলেনা। এর পাশাপাশি কি খাচ্ছি আর কি খাচ্ছি না, ঠিকটা খেয়ে ক্ষতিকরটাই বাদ দিচ্ছি কি না, এ সবও শরীর ভাল রাখার ক্ষেত্রে খুবই দরকারি। শাক, সব্জি, ফল তো সকলেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু কেবল মূল, ফল বা সব্জিই নয়, তার খোসাতেও থাকে নানা পুষ্টিগুণ। খনিজ ও ভিটামিনের জোগান দিতে এগুলিও নানা ভাবে কাজে আসে। রান্না থেকে শুরু করে রূপচর্চা অথবা গৃহস্থালির  নানা কাজ- এ সবেও কাজে আসবে এই খোসা। চলুন জেনে নেওয়া যাক  কেমন করে ব্যবহার করলে কিছু কিছু ফল বা সব্জির খোসা হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান? জানলে এ সব খোসা আর কখনও ফেলবেন না। যেমন ধরুন -

১) কলার খোসা: কলার খোসা দিয়ে নতুন পদ রান্না থেকে জুতোর যত্ন, সবেতেই এর প্রভাব বিস্তর।  জুতো থেকে দাগ তুলতে কলার খোসাকে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া পাকা কলার খোসার ভিতরের অংশ জুতোর উপরে ঘষুন কিছুক্ষণ। তার পর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন জুতো।এর পাশাপাশি দাঁতের হলুদ ভাব কাটাতেও কলার খোসা বেশ কাজে লাগে। প্রতি দিন সকালে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষুন কিছু ক্ষণের জন্য। এরপর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। সপ্তাহখানেকে দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।তাছাড়া ত্বকের যত্নে এই খোসা অত্যন্ত উপযোগী। যদি কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন তা হলে মুখের  কালো দাগ বা বলিরেখা খুব সহজে দূর হবে। 

২) লেবুর খোসা: লেবু খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন? এবার আর সেটা করার উপায় নেই। এবার খোসা শুকিয়ে নিন রোদে। তারপরে তা গুঁড়ো করে রেখে দিন কোনও এয়ার টাইট পাত্রে। দুধ, মধু ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে একটা ফেস মাস্ক তৈরি করে ফেলুন। ত্বক থেকে তেল সরাতে, মুখে আলাদা জেল্লা আনতে এই বিশেষ মাস্ক খুব উপকারী। এছাড়া ও বইয়ের আলমারিতে শুকনো লেবুর খোসা রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব ঠেকানো যায় সহজে। তাছাড়া মশা-মাছি-সহ অন্যান্য কীট-পতঙ্গের আনাগোনা যে সমস্ত স্থানে বেশি, সেখানেও রাখুন এটি। লেবুর খোসা অম্বল বা গা বমি ভাব কাটাতেও বেশ কাজে লাগে।

৩)আলুর খোসা: আলুর খোসাতে থাকে ভিটামিন সি আগেকার যুগের মানুষরা এই খোসা হালকা তেলে ভেজে এক ধরনের তরকারি বানাতেন।এর স্বাদ যেমন অনবদ্য, তেমনই ভিটামিন সি-এর উপকার মিলত তা থেকে। শুধু রান্না নয়, রূপচর্চাতেও এই খোসার ব্যবহার অপরিসীম। চোখের নীচের কালি সরাতে এর ভূমিকা বিরাট। আলু কেটে তার খোসাগুলি ফ্রিজে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপরে ওই ঠান্ডা খোসাগুলিকে চোখের উপর ধরে রাখুন। চোখ বুজে থাকুন কিছু ক্ষণের জন্য। মিনিট ১৫ পর ধুয়ে নিন জল দিয়ে। এই ভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে চট জলদি। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...