নিউজিল্যান্ডে শুরু হল দ্বাদশতম আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ

৪ মার্চ থেকে শুরু হল মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ নিউজিল্যান্ড। এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডে তিনবার (১৯৭৩, ১৯৯৩ ও ২০১৭), ভারতে তিনবার (১৯৭৮, ১৯৯৭ ও ২০১৩), অস্ট্রেলিয়ায় দু'বার (১৯৮৮ ও ২০০৯), দক্ষিণ আফ্রিকায় একবার (২০০৫) এবং নিউজিল্যান্ডে দু'বার (১৯৮২ ও ২০০০) মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে। এবার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে মোট তিনবার বসতে চলেছে মেয়েদের বিশ্বকাপের আসর।

icc- wo1

ভারত এই নিয়ে মোট ১০ বার বিশ্বকাপ খেলতে চলেছে। বাংলাদেশ এই প্রথমবার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলেছে। পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে চলেছে মোট ৫ বার। ভারতীয় মহিলা দল ২০১৭-র মেগা ইভেন্টে ফাইনালিস্ট হিসাবে শেষ করে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে এগিয়ে। তবে, অস্ট্রেলিয়া, স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের মতো দলগুলির কাছ থেকে ভারত কড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতা পাবে তা স্পষ্ট। তাই কাপ জয় মোটেই সহজ হবে না।

 

icc- wo2

 

২০২২ আইসিস মহিলা বিশ্বকাপে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ম্যাচগুলির সম্পূর্ণ সময়সূচী দেখে নিন:

 

ভারত বনাম পাকিস্তান(সকাল ৬.৩০), ৬ মার্চ, তৌরাঙ্গা

ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (সকাল ৬.৩০), ১০ মার্চ, হ্যামিল্টন

ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সকাল ৬.৩০), ১২ মার্চ, হ্যামিল্টন

ভারত বনাম ইংল্যান্ড (সকাল ৬.৩০), ১৬ মার্চ, ওয়েলিংটন

ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (সকাল ৬.৩০), মার্চ ১৯, অকল্যান্ড

ভারত বনাম বাংলাদেশ (সকাল ৬.৩০), ২২মার্চ, হ্যামিল্টন

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (সকাল ৬.৩০), ২৭মার্চ, ওয়েলিংটন

 

ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ২ বার ট্রফি জয়ের সুযোগ পেয়েছিল। ২০০৫ সালে ও শেষবার ২০১৭ সালে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তাদের রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে

পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। কিন্তু তার আগে শুরু হয়েছে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ১৯৭৩ সালে প্রথমবার আয়োজিত হয় মেয়েদের বিশ্বকাপ। শেষবার টুর্নামেন্ট খেলা হয় ২০১৭ সালে। এই নিয়ে মোট ১২ বার আয়োজিত হবে মহিলা বিশ্বকাপ।

 ছেলেদের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও যেমন সবথেকে বেশি ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও একটু এগিয়ে রয়েছে ব্যাগি গ্রিন টিম। এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ৬ বার মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া ১৯৭৩ ও ২০০০ সালে আরও দু'বার তারা রানার্স হয়।১৯৭৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ও ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় মহিলা বিশ্বকাপে কোনও ফাইনাল খেলা হয়নি। প্রথম দুটি মহিলা বিশ্বকাপে লিগ খেলার ফলাফলের নিরিখে শীর্ষ স্থানাধিকারীকে চ্যাম্পিয়ন ও দ্বিতীয় দেশকে রানার্সআপ ঘোষণা করা হয়েছিল।অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সবথেকে বেশি বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। ব্রিটিশ  মহিলারা মোট চারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। মোট তিনবার রানার্স হয়।

নিউজিল্যান্ডও একবার মহিলা বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ উপভোগ করেছে। কিউইরা ২০০০ সালে ঘরের মাঠে মহিলা ক্রিকেটে বিশ্ব সেরা হয়েছিল। এছাড়াও তিনবার রানার্স হয়েছে নিউজিল্যান্ড।

১১টি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয়ে গিয়েছে। ১২ নম্বর শুরু হল ৪ মার্চ থেকে। কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে মহিলা বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ইংল্যাল্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ছাড়া আর কোনও দেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। মেয়েদের টি২০ ক্রিকেটে ২০১৬ সালে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। কিন্তু একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এখনও অধরাই রয়ে গিয়েছে ক্যারেবিয়ানদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৩ সালে একবার মাত্র বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে। তবে তাদের রানার্স হয়েই থেকে যেতে হয়। মহিলা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ খেতাব জয়ের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত এই বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মোট আটটি দল। মহিলা বিশ্বকাপের দ্বাদশ এর সংস্করণকে স্মরণীয় করে রাখতে নয়া ডুডল তৈরি করেছে সার্চা ইঞ্জিন গুগল।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...