কার্তিক মাস। বাইরে যখন সনাতনীরা দুগ্গা পুজোর রেশ কাটিয়ে কালী পুজো, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, কার্তিক পুজো, সাঁঝবাতি-আকাশপ্রদীপে প্রবহমান ঐতিহ্যের লালনে ব্যস্ত; তখন শ্রীমন্দিরে মাস জুড়ে চলছে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলভদ্রের বিশেষ বিশেষ বেশভূষার হররা। এই যেমন ধরুন, আশ্বিন মাসে যখন 'রাধাদামোদর বেশ' অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, তখন থেকে প্রতি সোমবার 'হরিহর বেশ'-নামের একটি অনুষ্ঠানও শুরু হয়েছে, চলছে এই কার্তিকেও।
'রাধাদামোদর বেশ' যেমন জগন্নাথের বিশেষ সজ্জা, তেমনি 'হরিহর বেশ' শুধুমাত্র বলভদ্রের বিশেষ সজ্জা। এই বিশেষ বেশকর্মটি অশ্বিনের অমাবস্যায় শুরু হয়ে কার্তিকের পূর্ণিমা অব্দি চলে।
'হরিহর বেশ'-এ বলভদ্রকে সাদা-কালো পোশাকে এমনভাবে সাজানো হয়, যাতে বিগ্রহের অর্ধেকটা কালো, বাকি অর্ধেকটা সাদা বলে মনে হয়। এই রঙ বিভাজনের মধ্য দিয়ে বোঝানো হয়, বলভদ্রের একই অঙ্গে দুই দেবতার অধিষ্ঠান। কালো অংশে বিষ্ণু, সাদা অংশে শিব বা হরের স্থান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিশেষ বেশকর্মটি বলভদ্রের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় কেন? হরি বা হরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোথায়?
আমরা জানি যে, বলভদ্র বা বলরাম হচ্ছেন শেষ নাগ বা অনন্ত নাগের অবতার। কিন্তু, তাঁর জন্ম বৃত্তান্তের অন্য একটি কাহিনিও আছে 'ভাগবত'-এ। সেই কাহিনিতে তিনি বিষ্ণুর দশ অবতারের একজন। অষ্টম অবতার। ফলে, এখানে তিনি সরাসরি বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
আবার 'বিষ্ণু পুরাণ' মতে, একবার যখন পৃথিবী পাপে জর্জরিত হয়ে উঠলেন, তখন দেবতারা সেই পাপভার লাঘবের জন্য বিষ্ণুর কাছে এসে কাতর অনুরোধ জানালেন। তাতে বিষ্ণু দয়াপরবশ হয়ে নিজের একটি পাকা অর্থাৎ সাদা চুল উপড়ে তাঁদের হাতে দিয়ে রোহিনীর গর্ভে স্থাপন করতে বললেন। এবং, একটি কালো চুল উপড়ে দিয়ে দেবকীর গর্ভে স্থাপন করতে বললেন। এভাবে তাঁর সাদা চুল থেকে অচিরেই বলরামের জন্ম হল এবং কালো চুল থেকে জন্ম হল কৃষ্ণের। অল্পদিনেই অমিত শক্তি বা বলের জন্য খ্যাতি লাভ করলেন 'বলরাম'। তখন তিনি প্রসিদ্ধ হলেন 'বলভদ্র' নামেও।
সুতরাং, এই সব কাহিনির সূত্র ধরে হরির সঙ্গে বলভদ্রের সম্পর্কটি স্পষ্ট বোঝা গেল। এবার বলি, হর বা শিবের সঙ্গে তাঁর যোগের কথা।
ওড়িয়া সাহিত্যের ভক্তিযুগের অর্থাৎ পনের শতকের সুবিখ্যাত কবি যশবন্ত দাস তাঁর 'প্রেম ভক্তি ব্রহ্ম গীত' কাব্যে বলভদ্রকে শিবের অবতার বলেই বর্ণনা করেছেন:
"এ রুদ্র বলভদ্র রূপ
অতন্তি অনন্ত স্বরূপ।"
শুধু তাই নয়, তাঁর মতে সুভদ্রা, জগন্নাথ ও বলভদ্র যথাক্রমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের অবতার।
সুতরাং বোঝা গেল যে, ঈশ্বরচেতনার পৌরাণিক ও মধ্যকালীন এই দুই ভাবনাকে একত্র করেই বলভদ্রের মধ্যে হরি ও হরের সহাবস্থান স্মরণ করাতে এই 'হরিহর বেশ'-এর আয়োজন।
এর পর কার্তিক মাসের শুক্ল একাদশী তিথিতে একটি বিশেষ বেশকর্ম হতে দেখা যায়। এই বেশকর্মের নাম, 'লক্ষ্মীনারায়ণ বেশ'। এই বেশে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা তিনজনই বিশেষ সজ্জায় সজ্জিত হন।
'লক্ষ্মীনারায়ণ বেশ'-এ জগন্নাথ বিষ্ণু অবতারে সুসজ্জিত হন। তাঁর এক হাতে থাকে রুপোর শঙ্খ, অন্য হাতে থাকে সোনার সুদর্শন চক্র। বলভদ্র এ-দিন তির-ধনুক ধারণ করেন। সঙ্গে লাঙল-কোদালও থাকে। আর সুভদ্রার অঙ্গে সোনার হাত ও পা সংযুক্ত করা হয়। তাই নিয়ে তিনি রানির মেজাজে অধিষ্ঠান করেন।
এই বিশেষ বেশে তিন দেবদেবীর অঙ্গে ওঠে ফুলের মালা, প্রভূত ফুলের এবং সোনার অলঙ্কার। মাথায় শোভা পায় সোনার মুকুট। মুকুটে থাকে সুদৃশ্য সোনার তবকরাজি অর্থাৎ 'ঠিয়াকিয়া'। তাই এই বেশকে 'ঠিয়াকিয়া বেশ'ও বলা হয়। নিত্য অভিষেকের পর এই বেশকর্ম অনুষ্ঠিত হয়।
শোনা যায়, দ্বাদশ শতকে বৈষ্ণবদের চার শাখার মধ্যে অন্যতম 'নিম্বার্ক সম্প্রদায়'-এর প্রতিষ্ঠাতা নিম্বার্ক আচার্য শ্রীমন্দিরে এই বিশেষ বেশকর্মটি প্রবর্তন করেন। দ্বৈত-অদ্বৈতবাদী নিম্বার্ক রাধা-কৃষ্ণের একত্র পূজা-প্রচারের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
তারপর এই দ্বাদশ শতকেই বিশিষ্ট অদ্বৈতপন্থী বৈষ্ণব সাধক রামানুজ শ্রীমন্দিরে যখন এলেন, তখন তাঁর মাধ্যমেই এই 'লক্ষ্মীনারায়ণ বেশ'কর্মটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়।
বলা বাহুল্য, এই বেশকর্মটি বিশিষ্ট অদ্বৈতপন্থী সম্প্রদায়ের ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এই বেশে তিন দেবদেবীর দর্শনলাভ তাঁদের কাছে দারুণ সৌভাগ্যের সূচক। শুক্ল একাদশীতে এঁরা শ্রীমন্দিরে বসে মহাপ্রসাদ গ্রহণের সুযোগ পান। এ-দিন থেকে শুরু হয় 'পঞ্চুকা ব্রত'ও।
শুক্ল একাদশী থেকে কার্তিকের শেষ পাঁচ দিন ওড়িয়াবাসীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র, খুবই মঙ্গলদায়ী। এই পাঁচ দিন শ্রীমন্দিরে সেই পবিত্র ব্রত পালন করতে বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তেরা হাজির হন। জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলভদ্রদেবের দর্শন করে, পুজো করে, হবিষ করে, মহাপ্রসাদ পেয়ে এঁরা ব্রতপালন করেন। পাঁচ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় বলে এই ব্রতকে 'পঞ্চুকা ব্রত' বলে। 'পঞ্চ' থেকে 'পঞ্চুকা'।
পঞ্চুকা ব্রত চলাকালীন প্রতিদিন জগন্নাথ-সুভদ্রা ও বলভদ্রের ভিন্ন ভিন্ন ও বিশেষ বিশেষ বেশকর্ম অনুষ্ঠিত হয়। যেমন শুক্ল একাদশীতে তো 'লক্ষ্মীনারায়ণ বেশ'-এর কথা বলাই হল; এছাড়া দ্বাদশীতে হয়, 'বাঁকাচূড়া বেশ'; ত্রয়োদশীতে হয়, 'ত্রিবিক্রম বেশ'; চতুর্দশীতে হয়, 'লক্ষ্মী-নৃসিংহ বেশ'; পূর্ণিমাতে হয়, 'রাজরাজেশ্বর বেশ'।
দ্বাদশীতে যে 'বাঁকাচূড়া বেশ'কর্মটি অনুষ্ঠিত হয়, তা 'লক্ষ্মীনারায়ণ বেশ'-এর মতোই। ফারাক শুধু মুকুটে। এ-দিন সোনার তবকযুক্ত বা ঠিয়াকিয়াযুক্ত মুকুটের বদলে সোনার বাঁকানো চূড়া পরানো হয় মাথায়। এই বাঁকানো চূড়া থেকেই বেশের নাম হয়েছে, 'বাঁকাচূড়া বেশ'।
তবে এই বেশ-ঐতিহ্যটি বেশ পুরনো। এর অনুপ্রেরণার মূলে আছে 'মহাভারত'-এর গল্প:
কংসের আদেশে বিষ্ণুভক্ত অক্রূর যখন বৃন্দাবনে কৃষ্ণ ও বলরাম দুই ভাইকে মথুরায় নিয়ে যেতে এলেন; তখন গোপবালকদের মধ্যে কৃষ্ণকে যে-বেশে তিনি প্রথম দেখে ধন্য হয়েছিলেন, সেই বেশটিই হল 'বাঁকাচূড়া বেশ'।
আসলে, ভক্ত ও ভগবানের এই প্রথম সম্মিলন এবং কৃপার কথা স্মরণ করতেই শ্রীমন্দিরে 'পঞ্চুকা ব্রত'কালে এই বেশকর্মটি অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রয়োদশীর দিন অনুষ্ঠিত 'ত্রিবিক্রম বেশ' ভক্তদের কাছে 'আদাকিয়া বেশ' নামেও পরিচিত। এই বেশটি শ্রীমন্দিরে প্রবর্তন করেন অলিবাদী সম্প্রদায় ও মহন্ত মহারাজ রাম জয়ন্তী দাস।
'ত্রিবিক্রম বেশ'-এর মধ্য দিয়ে জগন্নাথকে স্বর্গ-মর্ত-পাতাল--এই ত্রিলোকের অধীশ্বর হিসেবে দেখানো হয়। সেই জন্য তাঁকে এই সময় ত্রিলোকস্বামী বীরের বেশে সাজানো হয়। তাঁর সোনার হাতে থাকে সোনার তরবারি, রুপোর শঙ্খ, সোনার সুদর্শন, অঙ্গে ওঠে সোনার অলঙ্কার, মাথায় ওঠে রত্নখচিত সুদৃশ্য সোনার মুকুট। জগন্নাথের পাশাপাশি বলভদ্র ও সুভদ্রাকেও সোনার মুকুট, সোনার অলঙ্কার এবং ফুলসাজে সুসজ্জিত করা হয়।
চতুর্দশীর দিন অনুষ্ঠিত 'লক্ষ্মী-নৃসিংহ বেশ' ভক্তদের কাছে পরিচিত 'ডালিকিয়া বেশ' নামেও। এতে জগন্নাথদেবকে ঠিক যেন নৃসিংহদেবের মতো করেই সাজানো হয়। এই বেশটিও মহন্ত মহারাজ রাম জয়ন্তী দাস প্রবর্তন করেন।
বোঝাই যাচ্ছে যে, ভক্ত প্রহ্লাদের প্রতি বিষ্ণুর অন্যতম অবতার নৃসিংহদেবের কৃপার কথা ভক্তদের স্মরণ করিয়ে দিতে এবং তাঁদের সামনে জগন্নাথ ও বিষ্ণুর সাযুজ্যের কথা তুলে ধরতেই পঞ্চুকা ব্রতকালে এই বিশেষ সজ্জার অবতারণা।
পঞ্চুকা ব্রত শেষ হয় পূর্ণিমা তিথিতে 'রাজ বেশ' বা 'রাজরাজেশ্বর বেশ'-এর মধ্য দিয়ে। এই বেশ বছরে পাঁচ বার অনুষ্ঠিত হয় : মাঘী পূর্ণিমায়, বহুড়া একাদশীতে, দশহরার সময়, কার্তিক পূর্ণিমায় এবং পৌষ পূর্ণিমায়।
বহুড়া একাদশী রথযাত্রার সময় পড়ে। এ-সময় এই বেশকর্ম 'সুনা বেশ' নামে রথের ওপর অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ বারের মধ্যে বাকি চার বার এই বেশ অনুষ্ঠিত হয় গর্ভগৃহে রত্নবেদির ওপরেই।
আষাঢ় মাসে 'সুনা বেশ' প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে আগের একটি পর্বে এই বেশের ইতিহাস বিস্তারিত লিখেছি।তাই তার পুনরাবৃত্তি না-করে এখানে কাহিনির ধরতাইটুকুই শুধু দিচ্ছি:
তের শতকে উড়িষ্যার ভক্ত-রাজা অনন্ত ভীম দেব জগন্নাথকেই উৎকলের প্রকৃত রাজা অর্থাৎ 'উৎকল-সম্রাট' বলে ঘোষণা করেন। তাঁরই উত্তর পুরুষ রাজা কপিলেন্দ্র দেব। তিনিও জগন্নাথের দারুণ ভক্ত।
পনের শতকে কপিলেন্দ্র দক্ষিণের এক রাজার বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধে জয়লাভ করেন। তিনি মনে করেন যে, জগন্নাথের কৃপা ছাড়া এই জয়লাভ কিছুতেই সম্ভব হত না। তাঁর মনে হল, যেন জগন্নাথই এই যুদ্ধে জয় এনে দিয়ে উৎকলের প্রজাদের রক্ষা করলেন। এবং এখান থেকে তিনিও তাঁর পূর্বপুরুষের মতোই জগন্নাথকে 'উৎকল সম্রাট' হিসেবে মেনে নিলেন। জয়ের পর লুঠ করে আনা ষোলটি হাতিবোঝাই সোনা জগন্নাথের ভাণ্ডারে দান করলেন।
এর পর কপিলেন্দ্রর সময়কালেই শ্রীমন্দিরে জগন্নাথের এই 'রাজরাজেশ্বর বেশ'-এর ঐতিহ্য প্রবর্তিত হল। এবং, লুণ্ঠিত সোনা দিয়ে জগন্নাথ-সুভদ্রা ও বলভদ্রের জন্য প্রভূত অলঙ্কার প্রস্তুত করানো হল। তার মধ্য থেকে অবশ্য মাত্র বত্রিশ রকমের গহনা এখন এই বেশকালে জগন্নাথদের পরানো হয়। ('সুনা বেশ' পর্বে সেই সব গয়নার একটি তালিকাও দিয়েছি)।
পঞ্জিকার হিসেবের হেরফেরে 'পঞ্চুকা ব্রত' যখন পাঁচ দিনের পরিবর্তে ছ'দিন অনুষ্ঠিত হয়, তখন ওই ছ'দিনের দিন একটি বিশেষ বেশকর্ম হয়, যার নাম, 'নাগার্জুন বেশ'। এই বেশে জগন্নাথদেবকে দেখার সৌভাগ্য ভক্তদের খুব কমই হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে এই বেশকর্মটি অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ছ'বার : ২৬.১১.১৯৬৬, ১৬.১১.১৯৬৭, ০৩.১১.১৯৬৮, ২৬.১১.১৯৯৩, ১৬.১১.১৯৯৪ এবং ২৭.১১.২০২০।
'নাগার্জুন বেশ'-এ জগন্নাথের যোদ্ধার সাজ। সোনার হাত, সোনার পা। হাতে থাকে সোনার অস্ত্রমালা। অঙ্গে পরানো হয় শ্রীভুজ, শ্রীপয়রা, নাকুয়াসি, কর্ণকুণ্ডল প্রভৃতি সোনার অলঙ্কার। আর মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় সোনার মুকুট।
'নাগার্জুন বেশ'-এ জগন্নাথ যে বীরযোদ্ধার সাজটিতে সাজেন, তা আসলে যোদ্ধা পরশুরামের সাজ। 'পরশুরাম' বিষ্ণুর দশ অবতারের অন্যতম। তাই জগন্নাথ-পরশুরাম-বিষ্ণুকে এক করে দেখানোর জন্যই এই বিশেষ বেশের অবতারণা।
স্বভাবতই এই বেশের পেছনে একটি পৌরাণিক কাহিনি আছে। সেটাই খুব সংক্ষেপে বলছি :
মাহিষ্মতীর রাজা কার্তবীর্য অর্জুন গুরুর কৃপায় সহস্র হাতের অধিকারী হয়ে 'সহস্রার্জুন' নামে খ্যাত হয়েছিলেন। তাতে যুদ্ধে নিজেকে অপরাজেয় ভেবে অচিরেই দারুণ অহংকারী ও অত্যাচারী হয়ে উঠেছিলেন।
পরশুরামের পিতা ঋষি জমদগ্নির একটি কামধেনু ছিল। একদিন সহস্রার্জুনের চোখ পড়ল তার ওপর। লোভ হল। তিনি প্রথমে অবশ্য সেটি জমদগ্নির কাছে চাইলেন, কিন্তু ঋষি যখন তাঁকে তা দিতে রাজি হলেন না; তখন সহস্রার্জুন ঋষিকে অপমান করে সেই কামধেনু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন।
ঘটনার সময় পরশুরাম উপস্থিত ছিলেন না। পরে পিতার মুখে ঘটনাটা শুনে তিনি দারুণ ক্রুদ্ধ হলেন। অমনি ভয়াবহ এক যুদ্ধে সহস্রার্জুন হত্যা করে পিতার অপমানের প্রতিশোধ নিলেন এবং কামধেনুকে উদ্ধার করে আনলেন।
পঞ্চুকা ব্রত সমাপনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমন্দিরে কার্তিক মাসের বিশেষ বেশপর্বও সমাপ্ত হয়। সুতরাং, সেই অনুযায়ী এই পর্বটিও এখানে শেষ করছি। আগামি পর্বে আসছি পরের মাসের বিশেষ বেশভূষার অনেক অজানা কথা ও কাহিনি নিয়ে...