কামরাঙায় কামড় দিন নিশ্চিন্তে

কামরাঙা খেতে আমরা কম বেশি সকলেই খুবই ভালোবাসি। ফলটি দেখতে যতটা আকর্ষণীয় তেমনি ঠিক স্বাদের দিক দিয়েও বেশ হিট। কিন্তু আপনারা কি জানেন শুধুমাত্র রূপে বা স্বাদে নয়, গুণমানের দিক দিয়েও কামরাঙার জুড়ি মেলা ভার। তাহলে আসুন কামরাঙার কয়েকটি স্বাস্থ্য গুন সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক

১. কামরাঙায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলের  রস ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখবে এবং ত্বক দাগমুক্ত রাখবে।

২. ব্রণর সমস্যা দূর করতে, কামরাঙার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার একটি তুলার বলে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

. চোখের নীচে ফোলাভাব কমাতে, কামরাঙার রস তুলোর বলে ভিজিয়ে চোখের নীচে ফোলা অংশে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সাত থেকে আট দিনের মধ্যে আস্তে আস্তে ফোলা অংশ ঠিক হয়ে যাবে।

৪. কামরাঙার রস ত্বকে লাগিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই রস আপনার ত্বকের ময়লা জীবাণু সহজেই পরিষ্কার করে ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করবে।

৫. ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং ত্বক টানটান করতে হলে, যেকোনো প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে কামরাঙার রস মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসাবে ত্বকে লাগান,

৬. কামরাঙায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পলিফেনোলিক ফ্লাভনয়েড আর গালিক অ্যাসিড যার ফলে খাদ্যনালীর ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করে।

৭. কামরাঙায় ক্যালোরির পরিমান অতি সামান্য থাকার কারণে, কামরাঙা খেলে দ্রুত ওজন কমে।

৮. কামরাঙায় প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকার জন্য হজমে সাহায্য করে

৯. অর্শকে চিরতরে বিদায় করতে হলে, প্রতিদিন শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়ো এক চামচ জলে মিশিয়ে খেলে, অর্শ চিরদিনের জন্য বিদায় হয়ে যাবে।

তবে কিডনির সমস্যা থাকলে কামরাঙা থেকে এড়িয়ে চলুন, কারণ কামরাঙায় রয়েছে ক্যারামবক্সিন এবং অক্সালিক অ্যাসিড যা কিডনি চিকিৎসারত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...