ব্যাঙের পিঠে শিব মন্দির

ব্যাঙ মন্দির। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের খেড়িতে মান্ডুক মন্দির গোটা দেশের আকর্ষণ। মান্ডুক মানে ব্যাঙের পিঠের উপর মন্দির। সেই জন্য এই মন্দিরের নাম মান্ডুক মন্দির। এই মন্দিরে নর্মদেশ্বর শিবের পুজো হয়।

লখনউ  শহর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৩৫০ বছরের প্রাচীন। এই মন্দির। ওয়েল রাজপরিবারের সদস্যরা যুক্ত আছেন মন্দিরের সঙ্গে । এই মন্দিরের স্থাপনের কারণ হিসেবে দুটি কাহিনির সন্ধান পাওয়া যায়। কাহিনির সময়কাল উনিশ শতক। ওয়েল রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ রাজা ভক্ত সিং রাজপুরোহিতের কাছে পরিবার এবং রাজবংশের উন্নতি-কল্যাণের পথ জানতে চান। তিনি তাঁকে মান্ডুক মন্দির প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন।

এক তান্ত্রিকের নির্দেশে তৈরি হয় মন্দির। পরিবারের কল্যাণের জন্য তিনি মন্দিরে মান্ডুক বলির আদেশ দিয়েছিলেন। গুপ্ত তান্ত্রিক দর্শন অনুসারে মন্দির স্থাপত্যের পরিকল্পনা করা হয়। তন্ত্র মতে মান্ডুক সৌভাগ্য এবং উর্বরতার  প্রতীক।  যে স্থানে ব্যাঙ-বলি হয়েছিল সেই স্থানেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হয়।

ভূমিতল থেকে ১০০ ফুট উচ্চতার মন্দির। রাজস্থানী গঠনরীতিতে নির্মিত। দেখলে মনে হবে যজ্ঞভূমি। সিঁড়ি দিয়ে ধাপে ধাপে উঠতে হয়।

মন্দিরের প্রথম তিনটি ধাপ তম, সত, রাজ নামে পরিচিত। সেই ধাপ পার হলে বাকি মন্দির প্রস্ফুটিত পদ্মের মতো। গর্ভভূমি ঘিরে আছে সেই অঞ্চল। শিবলিঙ্গের পাশেও আছে মান্ডুক

মন্দির গাত্রে দেবদেবীর চিত্র খোদাই করা। মন্দিরে লক্ষ্মীযন্ত্রও আছে। মন্দিরের পুজো পদ্ধতিতে যে সমস্ত তান্ত্রিক রীতি-রেওয়াজ প্রচলিত ছিল তা বহুদিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মান্ডুক মন্দির অত্যন্ত জনপ্রিয়। সৌভাগ্য লাভের আকাঙ্খায় বহু মানুষ আসে এখানে। বিশেষ করে সদ্য সন্তান লাভ করেছেন যেসব দম্পতি। সন্তানের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ জীবনের কামনায়।

শিবরাত্রি, শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার ও কালীপুজোর সময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় এই মন্দিরে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...