রাজ্যে প্রথম তৈরি হতে চলেছে হেলিপোর্ট, পর্যটকরা পাবেন হেলিকপ্টারের সুবিধা

উন্নতির লক্ষ্যে আরও এক পা এগিয়ে গেল রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে হেলিবন্দর। তিনটি জায়গায় এই হেলিপোর্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।

দার্জিলিং, কালিম্পং এবং রায়গঞ্জ তিনটি জায়গায় তৈরি হবে হেলিবন্দর। যার ফলে মাত্র ১০-১৫ মিনিটেই শিলিগুড়ি থেকে যাত্রীরা পৌঁছে যাবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে।

কী এই হেলিপোর্ট?

নিয়মিত বিমানবন্দরে যাতায়াতের অভ্যাস থাকলেও, হেলিপোর্ট ও হেলিকপ্টারে যাতায়াতের অভ্যাস নেই এই রাজ্যের মানুষের। হেলিপোর্ট হলো হেলিকপ্টার ওঠা-নামার উপযুক্ত বন্দর। যেখান থেকে খুব সহজেই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যাত্রীরা একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছে যাবেন।

বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভা-সমিতিতে যাওয়ার জন্য কিছু মানুষের হেলিকপ্টারে চড়ার অভিজ্ঞতা হলেও তা খুব সামান্য যাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই এবার রাজ্যের এই নয়া উদ্দ্যোগ।

কী কী থাকবে এই হেলিপোর্ট ব্যাবস্থায়?

একটি হেলিপ্যাড থাকবে ও সাথে বিমানবন্দরের মতন একটা ছোট টার্মিনাল বিল্ডিং বা ওয়েটিং লাউঞ্জ। যেখানে অপেক্ষা করতে পারবেন যাত্রীরা। কিন্তু এই টার্মিনাল বিমানবন্দরের তুলনায় অনেক ছোট হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর। তবে এখানেই শেষ নয়, নিরাপত্তার দিকেও নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। যাত্রীদের মালপত্র এক্স-রে করার ব্যবস্থাও থাকবে এই হেলিবন্দরে। সাথে থাকবে জরুরি অবস্থার জন্য দমকল বাহিনী।

হেলিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব কাদের কাছে?

এই হেলিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিম (আরসিএস)-কে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের অধীনস্থ পবন হংস সংস্থাকে তিনটি হেলিপোর্ট বানানোর বরাত দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জ এলাকায় এই কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে পবন হংস সংস্থা-কে দিয়েছে সরকার।  দার্জিলিংয়ে হেলিপোর্টের জন্য ২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে কালিম্পংয়ে এখনো জমির খোঁজ চলছে।

সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, পবন হংস খুব শীঘ্রই এই বিষয় নিয়ে ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেবেন।

খরচ বরাদ্দ কীভাবে?

পর্যটকদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গতিশক্তি প্রকল্প রয়েছে এই উদ্যোগের পিছনে। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বিমানবন্দর ও হেলিপোর্ট তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। আর তার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

বছরের বিভিন্ন সময়ে পর্যটকরা ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন। সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হয় পাহাড়। তাই দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতন বিভিন্ন শৈল এলাকায় সহজে পৌঁছাতে এবার যাত্রীরা হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে পারেন।হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন যাত্রীগণ।

এখনো অবধি হেলিকপ্টারের ভাড়া ঠিক হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে তা মধ্যবিত্তদের আওতার মধ্যে থাকবে। কারণ, যেহেতু এটি আরসিএস-এর অধীনে তাই কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...