ভোটের দামামা বেজেই গেল। প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে আগামী কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১১ইএপ্রিল থেকে। ১৮টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯১টি লোকসভা আসনে।
বৃহস্পতিবার ওড়িশার চারটি লোকসভা এবং ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে যার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা। অপরদিকে অসমের তেজপুর, কালিয়াবর, জোড়হাট, ডিব্ৰুগড় এবং লখিমপুরে নির্বাচন রয়েছে। মহারাষ্ট্রে সাতটি, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের দুটি করে আসনে ভোট হবে আগামীকাল। এর সঙ্গে মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, ছত্তিশগড়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, আন্দামান-নিকোবর ও লাক্ষাদ্বীপের একটি করে আসনে নর্বাচন হতে চলেছে। লোকসভার সঙ্গে সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম ও ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা ও ১৭৫টি বিধানসভা আসনে একসঙ্গে ভোট হবে ১১এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। তেলেঙ্গানায় প্রথম দফায় ১৭টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফায় ৮টি লোকসভা আসনে ভোট হবে কাল। উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে।
এই বিষয়ে অর্থাৎ ভোটের প্রচারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি আসনে, তেলেঙ্গানার ১৭টি আসনে, অরুণাচল প্রদেশের দুটি আসনে, মেঘালয়ের ২টি আসনে, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডের ১টি আসনে, সিকিম, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১টি করে আসনে ভোট হলেই এখানে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। এতগুলি রাজ্যের মধ্যে তেলেঙ্গানায় সবচেয়ে বেশি ৪৪৩ জন প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছেন। এদিকে বাংলায় কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে লড়াইয়ে তেওঁয়েছেন ১৮ জন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে ত্রিপুরার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং-এর বন্দোবস্ত থাকছে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরায় দেশে একমাত্র রাজ্য, যেখানে ১০০ শতাংশ বুথে এই বন্দোবস্ত থাকতে চলেছে। এই প্রক্রিয়ায়, সারা ত্রিপুরা জুড়ে ভিডিওর মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়া দেখার এবং ভোটপর্ব চলাকালীন নজরদারি দল মোতায়েন রাখা হচ্ছে। ওই নজরদারি দলগুলি ভোটের দিন বুথের মধ্যেকার যাবতীয় কার্যকলাপের ওপর নজর রাখবে। সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মোবাইল টিম জায়গায় জায়গায় মোতায়েন রাখা হবে পুরো নিরাপত্তার জন্য। ১০০ শতাংশ ওয়েব কাস্টিং-এর চেষ্টা হচ্ছে, তবে যদি কোনো জায়গায় নেট সংযোগ না পাওয়া যায়, সেখানে ভিডিওগুলি জেলা নির্বাচনী অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট জেলাশাসক অফিসে বসেই পুরো বিষয়টির তদারকি করবেন। এবং প্রিসাইডিং অফিসার ভিডিও সম্পর্কে তথ্য দেবেন। এই ব্যবস্থাকে ভারতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার নিদর্শন বলেও মনে করা হচ্ছে।