জনসংযোগ বাড়াতে সাইকেলে চড়ে গ্রাম পরিদর্শনে বাঁকুড়ার জেলাশাসক

সম্প্রতি জঙ্গলমহল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই ফলস্বরূপ জেলাশাসক এবং বিডিও সাইকেল করে গ্রাম পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়লেন। গাড়ি করে নিরাপত্তা বেষ্টিত হয়ে গ্রামে এলে তাদের সঙ্গে গ্রামের লোকেদের একটা তফাৎ থেকেই যায়। সরাসরি গ্রামের মানুষের অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা হয়না। তাই তাদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ করার জন্য সাইকেল নিয়েই পৌঁছে গেলেন গ্রামে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ডিসেম্বর সক্কালবেলা বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ও সিমলাপালের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারীকে দেখা গেল সাইকেলে। প্রথমে তাঁরা যান বাঘাখুলিয়া গ্রামে। তারপর কুসুম দুংরি, বিজারদিশেরপুর গ্রামের গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ শোনেন। অনেকে প্রথমে হতচকিত হয়ে পড়েন তাঁদের দেখে। অনেকে তো আবার বুঝতেই পারেননি। জেলাশাসক গ্রামবাসীদের সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। কয়েকজন অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরি ১৯২ টাকার বদলে ১২০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করেন, ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও বার্ধক্য ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। সবাইকেই সরকারি পরিষেবা দেওয়ার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। জেলাশাসক বিজারদি গ্রামের একটি পরিবারে যান, যেখানে সেদিন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। মৃতের পরিবার বিপিএল তালিকাভুক্ত জানার পর তিনি সেখানে গিয়ে তাদের সমব্যথী প্রকল্পের আওতায় এনে ২০০০ টাকা তুলে দেন। তারপর তিনি গিয়েছিলেন গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। সেই সময় সেখানে শিশুদের জন্য খাবার রান্না হচ্ছিল। জেলাশাসক এবং সিমলাপালের বিডিও রান্না করা সেই খাবার চেখেও দেখেন।

   এভাবে যদি মাঝে মাঝেই সরকারি পদাধিকারীরা গ্রামের মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারেন, তাহলে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে তার সমাধান করা যাবে এবং গ্রামের মানুষদের সরকারের কাজের প্রতি আস্থা বাড়বে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...