নিপা ভাইরাসের বাহক বাদুড়। একথা আমরা আগেই জানাছি। তবে এবার বিজ্ঞানীরা নিপা ভাইরাসের নকশা উন্মোচন করেছেন। এই গবেষণার দ্বারা জানা গিয়েছে, নিপা ভাইরাসের বাহক বাদুড়ের বিস্তার, চলাচল ও সক্রিতা সম্পকৃত তথ্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাদুড়ের শরীরের মধ্যে উক্ত জীবাণুর বৈচিত্র শনাক্তের মাধ্যমে নিপা ভাইরাসের সংক্রমন কম করা যাবে। এর পাশাপাশি সম্ভব হবে এই রোগের জন্য বিশেষ টিকা আবিষ্কারও। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের নকশা উন্মোচণ সম্পৃক্ত গবেষণার নিবন্ধটি আমেরিকার বিজ্ঞান সাময়িকী 'এমার্জিং ইনফেকশান ডিজিজ'-এ ছাপা হয়েছে। এই বিশেষ গবেষণাটি করে ১৫জন বিজ্ঞানীর একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সমস্ত প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধিকে অগ্রাধীকার দিয়ে থাকে, তাদের মধ্যে একটি হল এই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত একটি ব্যাধি। এই ভাইরাস এতটাই প্রাণঘাতী যে এই ভাইরাসের কবলে পড়লে ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশই মারা যায়। তবে এই বিশেষ ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। সাধারণত বাদুড়, খেজুরের কাঁচা রস পান করার সময় নিপা ভাইরাস ছড়ায়। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত করা হয়। এরপরে তা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা গুলিতে। এই বিষয়ে গবেষকরা বলেন যে, নিপা ভাইরাসের বাহক মূলত একই প্রজাতির বাদুড়। তবে এবার বিজ্ঞানীরা টেরোপাস মেডিয়াস গোত্রের বাদুড় থেকেই নিপা ভাইরাসের জীনের নকশা উন্মোচণ করলেন। এই বাদুড় গুলি মূলত ভারতীয় উপমহাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করে। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাসগুলো অস্ট্রেলিয়ার প্রাণী স্বাস্থ্য গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া আরো দূর দূরান্তের বাদুড়দের মধ্যেও এর মিল পাওয়া গেছে।