'এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই'.... রোজ সকাল হোক বা বিকেল, চায়ের সাথে একটা টা কিন্তু সকলের চাই-ই চাই। কিন্তু এই টা এর অভ্যেস যে ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে তা কি জানা আছে? অতিরিক্ত বিস্কুট খেলে কি কি সমস্যা তৈরী হতে পারে শরীরে তা নিয়ে চলুন আজ একটু আলোচনা করা যাক.....
প্রথমেই বলে রাখা ভালো, বিস্কুট তৈরী হয় ময়দা দিয়ে। আর এই ময়দার প্রধান উপাদান হলো গ্লুটেন। তাই যাদের গ্লুটেন অ্যাল্যার্জি রয়েছে বিস্কুট খেলে তাদের নানা সমস্যা তৈরী হতেই পারে। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ার ফলে স্থুলতা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নানা সমস্যা অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধবে।
বিস্কুট যেহেতু ময়দা দিয়ে তৈরী তাই কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বিস্কুট খেলে ফাইবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। বিস্কুটে থাকা অতিরিক্ত চিনি থেকে অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ডায়াবেটিস। অনেক বিস্কুটের ক্ষেত্রে কোম্পানির তরফ থেকে দাবি করা হয় তাদের বিস্কুট জিরো ফ্যাট যুক্ত। কিন্তু আসল কথা এটাই যে, এরকম কথা কোনো কোম্পানি তখনই বলতে পারে যখন তাদের প্রোডাক্টে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমান ০.৫ গ্রাম হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই কোনো প্রোডাক্ট জিরো ফ্যাটযুক্ত হয় না। বিস্কুট বানাতে যেহেতু বেকিং পাউডারের ব্যবহার করে হয় তাই কিছু ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিস্কুট আবার হজমে সাহায্য করে।
চায়ের সাথে টায়ের সম্পর্ক বহুদিনের। তাই এই টা থেকে কি কি বিপদ আসতে পারে সেই নিয়ে গবেষণাও চলছে বহুদিন ধরে। আর এই গবেষণার ফলেই উঠে এসেছে নানা জানা অজানা তথ্য। জানা গেছে, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত পরিমানে বিস্কুট খাওয়ার ফলে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুন বেড়ে যায়। নানা গবেষণায় উঠে আসা নানা তথ্য থেকে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যেস যাদের তাদের পেটের নানা সমস্যা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমান বেশি থাকায় তা কোলেস্টেরলের পরিমান বৃদ্ধি করতে পারে। এর ফলে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে।
আজ আমরা জানলাম অতিরিক্ত পরিমানে বিস্কুট খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে। আহা, তাই বলে চায়ের আড্ডায় টায়ের ব্যবস্থা থাকবে না তাও কি হয়? সেটা তো সম্ভব নয়। তাই চায়ের সাথে বিস্কুট খেলেও অল্প পরিমানে খান। সুগার ফ্রি বিস্কুট যদিও সম্পূর্ণ সুগার ফ্রি হয় না তাও সাধারণ বিস্কুটের থেকে ভালো। এছাড়াও আজকাল বাজারে নানা ধরণের বিস্কুট পাওয়া যাচ্ছে। যাদের মধ্যে অনেকগুলি রয়েছে যাদের নানারকম হেলথ বেনিফিট রয়েছে। সেরকম বিস্কুট পছন্দ করুন এবং অল্প পরিমান বিস্কুট খেয়ে সুস্থ থাকুন।