ভোটের মরশুমে একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল ভারতীয় ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। বুধবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা পেলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। 'টাইম' পত্রিকা আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করে। সেই তালিকাতেই প্রথম ১০০ জনে জায়গা করে নিলেন ভারতের ব্যবসায়ী মুকেশ অম্বানী। তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী সহ বিশ্বের তাবড় ব্যক্তিত্ব। ওই তালিকায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পোপ ফ্রান্সিস, চিনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এবং আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কৌতুকশিল্পী হাসান মিনহাজ।
এছাড়াও ভারতীয় বংশোদ্ভুত অরুন্ধতী কাটজু ও মেনকা গুরুস্বামী ওই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এলজিবিটি সম্প্রদায়ের তরফে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ ওই তালিকায় স্থান পেলেন অরুন্ধতী ও মেনকা।
তালিকাতে মুকেশ অম্বানির পরিচয় লিখেছেন মাহিন্দ্রা গ্রূপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা উল্লেখ করেছেন যে, যে কোনো কাজ শুরু করার আগে মুকেশ বাবার কথা স্মরণ করেন। বাবার আশীর্বাদ নেন। তাঁর বাবা ধীরুভাই অম্বানীর চেয়েও অনেক বেশি, অনেক উচ্চাকাঙ্খী ও সুদূরপ্রসারী মুকেশের নিজস্ব চিন্তাভাবনা। ভারতে সবচেয়ে সস্তা ৪জি নেটওয়ার্ক রিলায়েন্স জিও এনে মুকেশ প্রায় ২৮কোটি ভারতীয়কে একসূত্রে গেঁথেছেন।
পাশাপাশি কাটজু-গুরুস্বামী-র পরিচয় লিখে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি লিখেছেন ভারতের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন এই দুই ব্যক্তিত্ব। কাটজু-গুরুস্বামীর মতানুযায়ী সমাজে এগিয়ে চলতে গেলে উক্ত সম্প্রদায়কে মান্যতা দেওয়া যথেষ্ট প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেনার দায়ে জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল। প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। বকেয়া বেতনের আদায়ে সরব হয়েছেন সংস্থার কাজ হারানো কর্মীরা। এই অবস্থায় নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরস থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে নরেশ গোয়েলকে। এমনকি, বিনিয়োগকারীদের আপত্তিতে জেট এয়ারওয়েজকে আবার কিনে নেওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। এই অবস্থায় নরেশকে সহানুভূতি জানালেন বিজয় মালিয়া। এক সময়ের প্রতিদ্বন্দীকে তিনি মানবিকতার খাতিরে সহানুভূতি জানাতে ভুললেননা। একথা নিজস্ব ট্যুইটে জানিয়েছেন ব্রিটেনে আশ্রিত শিল্পপতি।
Even though we were fierce competitors, my sympathies go out to Naresh and Neeta Goyal who built Jet Airways that India should be extremely proud of. Fine Airline providing vital connectivity and class service. Sad that so many Airlines have bitten the dust in India. Why ?
— Vijay Mallya (@TheVijayMallya) April 16, 2019