ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতিরই সমান ভূমিকা রয়েছে। প্রাণী এবং উদ্ভিদের মেলবন্ধনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। তবে বিগত কিছু সময় ধরে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী লুপ্ত হয়ে চলেছে। এবার তার বিরুদ্ধেই বড় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড।
হাইলাইটস:
১। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বড় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড।
২। পশ্চিমবঙ্গের ১০ টি এলাকাকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা।
৩। বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ এলাকা কোথায় কোথায় রয়েছে?
জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১০ টি এলাকাকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড। বন দপ্তরের সঙ্গে একই সাথে কাজ করে চলেছে এই সংস্থা। এই সিদ্ধান্তের পর তারা দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গেই সব থেকে বেশি বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইট রয়েছে। এই অঞ্চল গুলি উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
পশ্চিমবঙ্গে বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ সাইটগুলি হল:
১। টংলু মেডিসিনাল প্ল্যান্ট এরিয়া (দার্জিলিং)
২। ধোত্রে মেডিসিনাল প্ল্যান্ট এরিয়া (দার্জিলিং)
৩। চিলকিগড় কনকদুর্গা হেরিটেজ সাইট (ঝাড়গ্রাম)
৪। বাণেশ্বর শিবদিঘি (কোচবিহার)
৫। ষ্টেট হর্টিকালচার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ষ্টেশন (কৃষ্ণনগর)
৬। নামথিং পোখরি (কার্শিয়াং)
৭। আমখই উড ফসিল পার্ক ( ইলামবাজার, বীরভূম)
৮। চর বালিডাঙা ( কালিগঞ্জ, নদিয়া)
৯। হলদির চর (পূর্ব মেদিনীপুর)
১০। বগুরান জলপাই-বরহামের ৭ কিমি বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত (পূর্ব মেদিনীপুর)
এই অঞ্চলগুলি সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য প্রাণী এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যকে সমান্তরালে আনা। ফিশিং ক্যাট, সিভেট ক্যাট, গোসাপ, কচ্ছপ, সাপ ভোঁদড়, সালাম্যান্ডার বা গোল্ডেন মনিটর লিজার্ড, এইসব প্রাণী ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির প্রতি এদের যে কার্যকারিতা তা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। এই কারণেই প্রাকৃতিক সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত হলে সেই অঞ্চলকে সমস্ত রকম ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে। প্রাণী হত্যা থেকে শুরু করে, চাষাবাদ, বসতি, উদ্ভিদ ধ্বংস কিছুই করা যাবে না এই এলাকায়। মূলত হেরিটেজ সাইটগুলোতে মানুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। তবে যদি টুরিস্ট আসে তবেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।