সব অন্ধকার রাতের শেষে আসে এক সুন্দর স্নিগ্ধ সকাল। কেরলের কান্নুরের পুরুনান রাজনও সেই সকালের অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর জীবনেও যে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছিল। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিল পুরুনানের জীবন। কিছুতেই ভেবে কূল-কিনারা করতে পাচ্ছিলেন না তিনি, কীভাবে ঋণমুক্ত হবেন। শেষে নিরুপায় হয়েই ঋণ মেটাতে ফের একবার ঋণ নেওয়ার কথা ভাবেন। এছাড়া আর কোনও উপায়ও ছিল না তাঁর কাছে। তাই ব্যাঙ্কের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন। কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা রীতিমতো রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। পুরুনান রাজনের জীবনের এর পরের গল্পটা ঠিক এইরকম-ব্যাঙ্কে লোন নিতে যাওয়ার পথেই কি মনে হতে কিনে ফেললেন লটারির টিকিট। আর তারপরেই রাতারাতি লটারির টিকিটের ছোঁয়ায় পুরুনানের সব ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা ভ্যানিশ।
এক ধাক্কায় লটারি জিতে পেয়ে গেলেন ১২ কোটি টাকা। তাঁর সঙ্গে মিলিয়ে গেল সব আর্থিক সমস্যা। একেই বলে ভাগ্য। লক্ষ্মীর কৃপায় কোটি টাকার মালিক এখন পুরুনান। স্বভাবতই আর্থিক সমস্যা মেটায় বেজায় খুশি পুরুনান রাজন। অবশ্য এটাই প্রথমবার নয়, লটারি কেনার অভ্যেস তাঁর প্রথম থেকেই ছিল। আগেও লটারি কেটে বিভিন্ন সময়ে কিছু অর্থও পেয়েছেন, কিন্তু কোটির মুখদর্শন হবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। স্বপ্নে না ভাবলেও বিনা স্বপ্নেই, বাস্তবে পেয়ে গেলেন ১২ কোটি। যদিও তাঁর হাতে আসবে সাত কোটি টাকা। তাও কি কম! সোমবার লটারির ফল বেরোতেই চমকে যান পুরুনান। লটারি জেতার পর তিনি জানিয়েছেন যে, এবার তাঁর সব ঋণ শোধ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সন্তানের শিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তার অবসানও হল। পাশাপাশি বাড়ির কিছু কাজ সারবেন পুরস্কারের অর্থ দিয়ে। আর অবশ্যই এরপর থেকে আরও বেশি করে লটারি কিনবেন বলেও জানিয়েছেন কোটিপতি পুরুনান রাজন। কে বলে পারে, এভাবেই হয়ত আরও একবার কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতে পারেন পুরুনান। হতেই পারে।