এই মন্দিরেই রয়েছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিব লিঙ্গ

ভোজেশ্বর মন্দিরের মূল উপাস্য দেবতা হলেন ভগবান শিব। একাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পারমা বংশের রাজা ভোজের নির্দেশে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই রাজার নাম অনুসারে মন্দিরের নামকরণ করা হয় ভোজেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরেই রয়েছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিব লিঙ্গ। উচ্চতা ১৮ ফুট ও পরিধি ৭.৫ ফুট। শুধু মাত্র একটি বৃহৎ আয়তনের পাথরকে কেটে মন্দিরটি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আজও মন্দিরটি অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। মন্দির চূড়ায় একটি বড় গর্ত রয়েছে। কথিত আছে যে, মুঘলরা যখন সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিল। তখন রাজা ভোজ সেই মন্দিরের ধন সম্পদ রক্ষা করার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। তারপর ভোজেশ্বর মন্দিরের কাজ শেষ করার আগেই তিনি মারা যান এবং নির্মাণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আবার কেউ কেউ বলেন যে রাজা ভোজ এই মন্দিরটি একদিনে তৈরি করতে চেয়েছিলেন এবং তাই সারাদিনের কাজ শেষে এটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

FotoJet - 2022-07-14T174849.955

যেহেতু মন্দিরের শিব লিঙ্গটি বহু বছর আগে তৈরি। তাই আকাশে উন্মুক্ত ছিল এবং প্রতি বর্ষায় জলের সংস্পর্শে আসায় লিঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে শিব লিঙ্গটিকে নবরূপ দেওয়া হয়। খনন করে দেখা গিয়েছে এই মন্দির ছাড়াও বহু ঐ স্থানে আরও কয়েকটি মন্দির তৈরি করার কথা ছিল। মন্দিরের গর্ভগৃহ প্রবেশের ঠিক আগে একটি পাথরের উপর একটি রেখা আঁকা লক্ষ্য করা যায়। এটি ভোজেশ্বর শিব মন্দিরগুলির একটি নীলনকশা, যেখানে মন্দিরের বিন্যাস, উচ্চতা এবং স্তম্ভগুলির বিবরণ রয়েছে৷

গর্ভগৃহের সামনে চারটি বিশাল পিলার রয়েছে, প্রায় ৪০-ফুট উঁচু একটি উল্টানো পদ্ম সহ একটি গম্বুজযুক্ত ছাদ ধরে আছে। চারটি বিশাল পিলারের দেওয়ালে শিব-পার্বতী, ব্রহ্মা-সাবিত্রী, লক্ষ্মী-নারায়ণ এবং সীতা-রামের ভাস্কর্য রয়েছে। প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে শিবরাত্রী পালন করা হয় এখানে। সেই সময় অনেক ভক্তের ভিড় দেখা যায়। বছরে শীতকাল ও বর্ষাকালেও পর্যটকরা আসেন। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ভোজপুরের দূরত্ব ৮৯১ কিলোমিটার। ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে আসার জন্য।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...