নাম তাপসী উপাধ্যায়। বি.টেকের ছাত্রী। এই অবধি বললে ২২ বছরের মেয়েটিকে বিশেষ চেনা যায় না। কিন্তু ‘বি.টেক গোলগাপ্পা গার্ল’ বললে এক নামে তাকে চিনে যায় গোটা দিল্লি। আর এখন গোটা দেশ।
পড়াশোনা ডিগ্রি যাই হোক না কেন স্বাধীন কেরিয়ার গড়তে ভয়ডরহীন আজকের প্রজন্ম। কেউ ইঞ্জিয়ারিং পাশ করে জিলিপির ফুড জয়েন্ট শুরু করে কেউ আবার এম.এ পাশ করে চায়ের দোকান। যেমন কলকাতায় ঝড় তুলেছিলেন হোটেল ম্যানেজমেন্ট ছাত্রী নন্দিনী। চাকরির বদলে ফুটপাতের ভাতের হোটেল তার স্বাধীন কাজের জায়গা। বৃদ্ধ বাবা-মা’র পাশে দাঁড়াতে তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এবার চমকে দিয়েছে দিল্লির বি.টেক পানিপুরিওয়ালি।
‘ফুচকাওয়ালি’ বললেই যেমন ছবি আমাদের চোখে ভাসে তাপসী এক ধাক্কায় বদলে দিয়েছে তার ছক। কাঁধে বা ডালা বা ট্রলি নয়, সে ফুচকা নিয়ে রাস্তায় বেরলেই ভিড় জমে যায় তাকে দেখতে। ‘রয়্যাল এনফিল্ড’-এ সওয়ার তাপসী। তার বুলেটের সঙ্গে আটকানো ফুচকার স্টল। স্ট্রিট ফুড মানেই অস্বাস্থ্যকর এই ধারণাকে বদলাতে চায় সে।
মিরাটের বাসিন্দা তাপসী দিল্লির একটি ইনস্টিটিউটে বি টেকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। পাশাপাশি গত এক বছর ধরে নিজের ফুচকার স্টল সামলায় সে। স্টলের নাম ‘B.Tech পানিপুরি ওয়ালি’। দিল্লির তিলক নগর মেট্রো স্টেশনের কাছে তাকে দেখা যায়। ফুচকার পশরা নিয়ে তিনি চলে আসেন বেলা ৩ টের সময়। সারা বিকেল চলে বিকিকিনি। দোকান খোলা থাকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
ইন্সটাগ্রামে তার ভিডিয়ো সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তে ভাইরাল হয়। পরিশ্রমী ছাত্রীর স্বাধীন ব্যবসার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সকলে। কাজে লিঙ্গভেদের জায়গাটিতেও জোরালো আঘাত হেনেছেন তাপসী। তাঁর হাসিখুশি ছবি বলে দেয় এই কাজে কতটা প্যাশন জড়িয়ে আছে। কাজের ছোটবড় নেই, যা ভালবেসে মনের টানে করবে সেটা তোমার কাজ বলছে সোশ্যাল মিডিয়া।