বাংলার নাট্যমঞ্চের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। তিনি একাধারে নির্দেশক, নাট্যকার, অভিনেতা, অধ্যাপক। ১৯৩৫ সালে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম অনন্তকুমার সেনগুপ্ত এবং মাতার নাম ঊষাপ্রভা সেনগুপ্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে তিনি ইংরেজিতে এম.এ পাশ করেন। এবং বেশ কিছুদিন অধ্যাপনার কাজ ও করেন।
১৯৬১ সালে তিনি 'নান্দীকার' নাট্যদলে যোগদান করেন। তিনি নান্দীকারে নির্দেশনার কাজ শুরু করেন ১৯৭০ সাল থেকে। সেই সময়ে থেকে তিনি নান্দীকারের প্রাণপুরুষ। থিয়েটারকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই মাধ্যমকে সাধারনের মান্যতা দেবার পেছেনে যে সমস্ত নাট্যকার অবিরাম পরিশ্রম করে গেছেন, রুদ্রপ্রসাদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। শিশুশিল্পী তৈরির কারিগর হলেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার অথিতি অধ্যাপক। তিনি চলচ্চিত্রে ও অভিনয় করেন। তাঁর নির্দেশিত নান্দীকারের নাটক গুলি হল আন্তিগোনে, ফুটবল, খড়ির গন্ডি, ব্যতিক্রম, শঙ্খপুরের সুকন্যা, যখন একা, সাক্ষাৎকার, ফেরিওয়ালা, প্রভৃতি। তিনি যে সমস্ত পুরস্কারের পুরস্কৃত হন সেগুল হল জাতীয় স্তরে সংগীত আকাদেমি পুরস্কার। প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব হওয়ায় গিরিশচন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাঁকে। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি পুরস্কার। এখনও ৮০ বছরে পৌঁছেও চূড়ান্ত জীবনীশক্তি নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর অভিনীত সাম্প্রতিক নাটক 'পাঞ্চজন্য' গুণীজনদের কাছে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। নান্দীকারে ছোটদের জন্য যে নাটক শেখানোর কর্মশালা হয় প্রতি রবিরার, তিনি সেখানে আসেন ছোটদের উৎসাহ দিতে। তিনি থিয়েটারের প্রাণপুরুষ ছিলেন, আছেন ও আজীবন থাকবেন।