সমগ্র বিশ্বে ফাস্ট লাইফস্টাইলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফাস্ট ফুডের রমরমা| কেউ এখন আর আগের মত রান্নাঘরে সময় কাটাতে চায় না| অথবা খুব কম সময়ে যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু রান্না করে খেয়ে নিতেই পছন্দ করে| তেমন আয়েশ করে খাবার জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকম হোটেল রেস্তোঁরা| সেখানে গিয়েই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম মেনু চেখে দেখে আজকের সাধারণ মানুষ| তার ফলস্বরূপ ক্রমবর্ধমান হচ্ছে বিভিন্ন রকম রোগ যথা- হাইপ্রেশার, ডায়াবেটিস, কোলেস্ট্রল প্রভৃতি। অসুখের বিস্তার নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক যৌথ স্ট্যান্ডিং কমিটি|
গত ৯ আগস্ট রাজ্যসভা ও লোকসভায় পেশ করা এক রিপোর্টে তারা জাতীয় খাদ্য নিয়ামক সংস্থা ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ফ্যাসাই) প্রতি করা সুপারিশ করে জানিয়েছে, দেশের সমস্ত হোটেল, রেস্তোঁরা, ফাস্ট ফুড চেন, অনলাইন খাবার সব জায়গায় মেনু কার্ডে খাবারের ক্যালরির পরিমান জানাতে হবে| মেনু অনুযায়ী ঠিক কতটা পরিমান খাদি ও পানীয় ক্রেতাকে দেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ থাকতে হবে কার্ডে। কমিটির উপলব্ধি, নানা সময়ে দেশের হোটেল, রেস্তোঁরাগুলিকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে নানা নিয়ম মানতে বলা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা তা মানেনা| হোটেল-রেস্তোঁরার রান্নাঘর, ভাঁড়ার ঘর, ধোয়ার জায়গা, নিকাশী ব্যবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে| যাতে কোনভাবেই খাদ্যে জীবানু সংক্রমণ না হয়| ৩২ জন এমপি কে নিয়ে গঠিত এই যৌথ কমিটি আরও জানিয়েছে, দেশে বিক্রি হওয়া প্রতিটি খাবারের লেভেলিংও অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন| হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অফ নিউট্রিসন লেভেলিং-এর সুপারিশ করেছে কমিটি| যেমন খাবারে বেশি নুন ও চিনি থাকলে সেই খাবারের প্যাকেটে লাল, মোটামুটি থাকলে হলুদ এবং কম থাকলে সবুজ চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে| সাড়া জাগানো এই রিপোর্ট সম্পর্কে দেশের সুগার ও হরমোন সংক্রান্ত অসুখের চিকিৎসক সংগঠন ‘এন্ডোক্রিন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার’ কর্মসমিতির সদস্য ডঃ শুভংকর চৌধুরীর মতে, লেভেলিং-এর সময় তেল এবং ফ্যাটের পরিমান ও দেখা উচিত|