এই সুবিশাল মহাকাশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে লক্ষাধিক গ্রহ উপগ্রহ। পৃথিবী ছাড়া আপাতত আর কোনো গ্রহেই প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই জোরকদমে চলছে গবেষণা। তারই মধ্যে এক নতুন খবর জানালেন বিজ্ঞানীরা। মোটামুটি সকলেরই ধারণা পৃথিবী ছাড়া অন্যান্য গ্রহেও রয়েছে প্রাণের স্পন্দন, যেখানকার অধিবাসীরা সময়ে অসময়ে বিভিন্ন সংকেত পাঠায় পৃথিবীবাসীকে, যাদের আমরা এলিয়েন বলে জানি তাদের দেখা পাওয়ার সমস্ত আশায় জল ঢাললেন বিজ্ঞানীরা। বিখ্যাত মার্কিন পদার্থবিদ এনরিকো ফার্মির "ফার্মি প্যারাডক্স" অনুযায়ী এই সুবিশাল মহাকাশে ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব অবশ্যই রয়েছে। এই নিয়ে গবেষণা যত এগিয়েছে তত দিশাহারা হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুইজারল্যান্ডের আরেক পদার্থবিজ্ঞানী গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ভিনগ্রহ থেকে এলিয়েনদের পাঠানো কোনো সংকেত পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সেই গ্রহের বাসিন্দারা সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। এলিয়েন অধিষ্ঠিত ভিনগ্রহ থেকে পাঠানো কোনো সংকেত আলোর থেকে বেশি বেগে এসে পৌঁছাতে পারে না সেই ক্ষেত্রে সংকেত এসে পৌঁছানোর আগেই সমাপ্তি ঘটবে সেই সভ্যতার। কারণ বিজ্ঞানীদের ধারণা অননুযায়ী, যেকোনো সভ্যতার আনুমানিক বয়স হয় এক লক্ষ বছর। যদিও মাত্র ৫ হাজার বছরের নিদর্শন পাওয়া যায় তবুও বিজ্ঞানীরা মনে করেন একমাত্র মানবসভ্যতাই ২ লক্ষ বছর আগেকার। কোনো সভ্যতার গড় বয়স ১ লক্ষ বছর হলে এলিয়েনদের সভ্যতার গড় বয়সও হবে একই। সেই ক্ষেত্রে আলোর থেকে কম বেগে চলা রেডিও সংকেত পৃথিবীতে পৌঁছাতে যা সময় নেবে তার আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে এলিয়েন সভ্যতা। গত ৮০ বছর ধরে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা যে রেডিও সংকেত ভিনগ্রহের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ছায়াপথের মাত্র ০.০০১ শতাংশ পথ অতিক্রম করতে পেরেছে। তাই "কোই মিল গয়া"-তে রোহিত মেহেরা, জাদুর মত বন্ধু পেলেও তা সম্ভব নয় বলেই দাবি মহাকাশবিজ্ঞানীদের।