বিশ শতকের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ হল ক্যান্সার। গত কয়েক বছরে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। ছবিটা বিশ্বের সব প্রান্তেই প্রায় এক। মানুষের শরীরের নানা অঙ্গে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তবে ফুসফুসের ক্যান্সারেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় সব ধরনের ক্যান্সারেই চিকিৎসা করা সম্ভব। পশ্চিমী দেশগুলির মতো এখন ভারতেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল কলকাতার 'সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার হাসপাতাল'। এই হাসপাতাল 'ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল' নামেই বেশি পরিচিত।
বর্তমানে সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা করা সম্ভব এই হাসপাতালে। বিভিন্ন ধরনের থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসা করা হয় 'ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল'-এ। যার মধ্যে কেমোথেরাপি ও ইমিউনো থেরাপি অন্যতম।কেমোথেরাপি এমন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা যার ব্যবহার করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু কেমোথেরাপির ওষুধ শরীরে প্রবেশ করার পর পার্থক্য করতে পারে না কোনটা ক্যান্সার কোষ আর কোনটা সাধারণ কোষ। তাই কেমোথেরাপির ফলে দেহের সব কোষই ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রোগীকে। তাই 'ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল'-এ টার্গেটেড থেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। আধুনিক এই পদ্ধতির ব্যবহার করে শুধুমাত্র ক্যান্সারের জিনকে ধ্বংস করা যায়। যার ফলে অন্য কোষগুলির ক্ষতি হয় না। ইমিউনো থেরাপির মতো আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে শরীরে ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়। এই ড্রাগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যার ফলে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।