“আকাশে আজ মেঘের ভেলা,
বাতাসে যেন শিউলি গোলা,
প্রকৃতি আজ দিচ্ছে জানান,
মায়ের ঘরে আসার পালা।”
এক বছর পেরিয়ে আবার মায়ের আগমণের সময় আসন্ন। তাই মা কে স্বাগত জানাতে, তৈরী বাঙালিরা। তবে যাদের জন্য সাধারণ মানুষ এই সময়টার অপেক্ষায় থাকে সেই পূজা কমিটিগুলির কি অবস্থা ? কত দুর এগলো তাদের প্রস্তুতি? এই সব জানতে জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন কলকাতার ঠাকুরপুকুর ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি অসিত ঠাকুরতা, উপস্থিত ছিলেন সহ-শিল্পী অয়ন্তিকা নাথ ও সহ-সম্পাদক তাপস খারকেল। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে আলাপচারিতায় জেনে নিলাম তাদের পুজোর বিষয়। সমাজে এমন বহু গোষ্ঠি আছে যারা আজও সামাজিক নিগ্রহের শিকার। তারা আজও নিপীড়িত, আর এই নিপীড়নের ফলে কোথাও গিয়ে ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি।
সাধারণ মানুষ যেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করে, এই নিগ্রহের ফলে সেই আদ্যাশক্তিও লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই প্রকৃতি ও আদ্যাশক্তির ভারসাম্য যেই কারণে হারাচ্ছে, সেই কারণগুলি ঠাকুরপুকুর ক্লাব তুলে ধরতে চলেছেন তাদের থিমের মাধ্যমে।
শিল্পী অরিন্দম নাথের ভাবনায় সেজে উঠছে তাদের ৭০তম বর্ষের পূজা মন্ডপ। সপ্তমি অষ্ঠমী নবমী ও দশমী পুজোর এই চারটি দিন সকল পল্লীবাসীদের নিয়ে থাকছে মহাভোজের আয়োজন। তাই অভিনব এই থিমের সাক্ষি থাকতে অবশ্যই পৌঁছে যেতে হবে ঠাকুরপুকুর ক্লাব পূজা মন্ডপে।