মঙ্গলবার সকালে মহানগরে হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অ্যালেনপার্কের উলটোদিকে একটি বহুতলে ওই আগুন লাগে। পার্ক স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিটের ঠিক সংযোগস্থলেই অবস্থিত এই বহুতলটি। ঠিকানা— ১/১ ক্যামাক স্ট্রিট। পার্ক সেন্টার।
এদিন আগুনটা লাগে পার্ক স্ট্রিটের একেবারের উপরের তলে। এটি ছিল একটি নাইট ক্লাব তথা রেস্তঁরা। রেস্তঁরাছিল। ফলেম ভিতরে নানা রকমের দাহ্য পদার্থ ছিল। তার জেরেই দ্রুত ছড়িয়ে আগুন। ওই এলাকায় নীল আকাশ নিমেষের মধ্যে ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়।
মঙ্গলবারের ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ৫টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। এরপরেই আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয়। প্রায় দু’ ঘণ্টার চেষ্টায় ১৫টি দমকলের ইঞ্জিনের সাহায্যে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এরপর তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ এবং দমকলবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনায় কেউ আহত বা জখম হননি। এছাড়া ভিতরে যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের নিরাপদে বাইরে বার করে আনা গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন সুজিত বসু।
প্রথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে রেস্তরাঁয় অস্থায়ী অ্য়াসবেসটসের ছাদ এবং নানা দাহ্য পদার্থের জন্যই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এছাড়াও ভিতরে নানা দাহ্য পদার্থ ছাড়াও ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। সেই সিলিন্ডার ফাটার আগেই দমকলবাহিনী তৎপরতার সঙ্গে ওই সিলিন্ডার সরানোর ব্যবস্থা করে।
রেস্তরাঁর মালিক গৌরব ঝুনঝুনওয়ালা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাঁর রেস্তরাঁটি কয়েক মাস ধরে বন্ধই পড়ে ছিল। সেখানে কাজ চলছিল। ফলে, ক্ষয়ক্ষতি হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। এই কারণে দমকলবাহিনী, দমকলমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।