আনুমানিক ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা বিশ্বসিংহ কোচবিহার রাজ্য স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে তার বংশধররাই কোচবিহারে রাজত্ব পরিচালনা করে এসেছে।
কোচবিহার শাসকরা ‘নারায়ন’ উপাধি ধারন করতেন। রাজ্যে নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন চলত। যা পরিচিত ছিল নারায়ণী মুদ্রা নামে। ‘শিব তঙ্কা’ নামেও অভিহিত করা হত।
১৭৭৩ সালে ভুটানের রাজা কোচবিহার আক্রমণ করলে কোচবিহার রাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহায্য নিতে বাধ্য হন। যুদ্ধে জেতেন কোচবিহার রাজ। কিন্তু ব্রিটিশ কোম্পানি ও তদানীন্তন কোচবিহার রাজের মধ্যে একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কোচবিহার রাজের মৃত্যুর পর কোচবিহার রাজ্য ইংরেজদের অধীন হয়। বঙ্গ দেশের মধ্যে কোচবিহার প্রথম করদ রাজ্য।
ব্রিটিশ রাজত্ব থেকে শুরু করে রাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন সব স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে জেলা।
কোচ বিহারের রাজপরিবারের দেবতা মদনমোহন। বৈরাগী দীঘির উত্তর পাড়ে মোহন মন্দির তৈরি করেছিলেন মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ। ১৮৮৯ সালে।
মন্দির প্রকোষ্ঠ রুপোর তৈরি। মঞ্চের ওপর রুপোর সিংহাসনে অলংকারে ভূষিত অষ্টধাতুর মদনমোহন বিগ্রহ। চার কক্ষের মন্দির।
প্রতি কক্ষে দেবদেবীর অবস্থান। সব চেয়ে বড় কক্ষে মদনমোহন অধিষ্ঠান করছে। মদনমোহন মন্দিরের বাঁদিকের কক্ষে অষ্টধাতুর অন্নপূর্ণা, নয়নতারা ও মঙ্গল চন্ডী বিগ্রহ। দক্ষিণ কক্ষে শ্বেতপাথরের মহাকাল মূর্তির ওপর কালিকা মূর্তি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে বর্তমান মন্দিরে দুটি বিগ্রহ রয়েছে। ছোট বিগ্রহটির গঠন আকার দেখলে মনে হয় প্রাচীন।
রাস যাত্রা উপলক্ষে দশদিন ধরে সাড়ম্বরে পুজো ও মেলা চলে।