আইআরসিটিসি-র তরফ থেকে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, তেজস এক্সপ্রেস থেকে প্রথম মাসেই আয় হয়েছে ৩.৭০ কোটি টাকা। আইআরসিটিসি লাভ করেছে প্রথম মাসে ৭০ লাখ টাকা। সেই কারনে আশা করা হচ্ছে, বেসরকারিভাবে ট্রেন চালালে তা লাভজনক হবে।
মোট ১৫০টি রুটে প্রাথমিকভাবে রেল বেসরকারি উদ্যোগে ট্রেন চালাতে চায়। সেই বেসরকারি উদ্যোগেই প্রথম চালানো হচ্ছে তেজস এক্সপ্রেস। আইআরসিটিসি এই ট্রেনটি চালাচ্ছে লখনৌ- দিল্লি রুটে। ৫ অক্টোবর থেকে তেজস যাত্রা শুরু করে। একেবারে কানায় কানায় পূরণ না হলেও প্রতিদিন গড়ে ৮০-৮৫ শতাংশ আসন ছিল ভর্তি। মোট ২১ দিন এই ট্রেন চলেছে।
সপ্তাহে ছ'দিন চালানো হচ্ছে তেজস এক্সপ্রেস। তার ফলে মোট খরচ হয়েছে ৩ কোটি টাকা এবং এই খরচকে দৈনিক হিসেবে দেখতে গেলে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এই ট্রেন চালাতে। পাশাপাশি টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে ১৭.৫০ লাখ টাকা। পূর্ববর্তী অঙ্গীকার অনুযায়ী যাত্রীদের বীমা করানো হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এবং যথেষ্ট উন্নতমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ট্রেন লেট করলে যাত্রীদের ফাইন বাবদ টাকাও দেওয়া হচ্ছে। সেই সমস্ত হিসেবে ধরা হয়েছে ট্রেন চালানোর খরচের মধ্যেই।
যদিও প্রথম দিকে একটু বেশি খরচ হচ্ছে, পরে আস্তে আস্তে সেটা কমে যাবে বলেই মনে করছে আইআরসিটিসি। তেমনি যত দিন যাবে, যাত্রীরা আরও এই ট্রেনের সম্পর্কে জেনে যাবেন এবং যাত্রীসংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। তাই শুরুর মাসে যেমন পারফরম্যান্স, তার ভিত্তিতে বলাই যায়, পরবর্তীতে আরও ভালো করবে তেজস।