নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ, ডি ডি বাংলা চ্যানেলে চলবে বিশিষ্ট শিক্ষকদের ক্লাস

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ, ডি ডি বাংলা চ্যানেলে চলবে বিশিষ্ট শিক্ষকদের ক্লাস

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন, আর তার জেরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। সেই কারণে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, প্রথম শ্রেণী থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত কাউকে এক ক্লাসে আটকে রাখা যাবে না। করোনা এবং লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে, এই কারণে প্রথমে সিবিএসই এই ঘোষণা করে। এরপর বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন যে, কোনও পড়ুয়াকে আগের শ্রেণীতে রেখে দেওয়া যাবে না। তবে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের যাতে প্রযুক্তির সাহায্যে পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল। এবার সেই ভাবনা-চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে চলেছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। রাজ্যের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য দূরদর্শনের ডি ডি বাংলা চ্যানেলে শ্রেণীকক্ষ চালু করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে, ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল এই ক্লাসগুলি হবে। বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত। এই সময়ে ডি ডি বাংলা চ্যানেলে বিশেষ বিশেষ অধ্যায় পড়াবেন বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা।

 

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এই ক্লাস শুরুর আগে বা ক্লাস চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীরা ফোন, এসএমএস, ইমেল এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারবে। চ্যানেলে উপস্থিত শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত শিক্ষকেরা তার উত্তর দেবেন। এক ঘণ্টার শেষে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হবে। সেটা বাড়িতে শেষ করে স্কুল খোলার পর শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে না। ঘরে বসেই পাওয়া যাবে এই শিক্ষা। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই এই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, এতে পড়ুয়ারা বাড়িতে বসেই পড়াশোনা চালু রাখতে পারবে। সেই কারণেই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া। 


অন্যদিকে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস না হলেও তাঁদের জন্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে (banglarshiksha.gov.in) থাকবে অ্যাক্টিভিটি টাস্কজানানো হয়েছে যে, প্রথম পরীক্ষার পাঠ্যসূচী থেকেই প্রতিটি বিষয়ে এই টাস্ক দেওয়া হবে। এটা বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ৬ এপ্রিল থেকে পাওয়া যাবে। ১৪ এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করে, তারপর স্কুল খুললে শিক্ষকদের হাতে দিতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজে অনলাইন, পোর্টাল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্লাস শুরু হয়েছে। কোথায় কেমন ক্লাস হচ্ছে, তার রিপোর্টও সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

অন্যদিকে সিবিএসই এবং রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের মতো একই পথে গিয়ে সিআইএসসিই- চিফ এক্সিকিউটিভ তথা সচিব জেরি অ্যারাথুন দেশের স্কুলগুলির প্রিন্সিপ্যালদের বলেছে যে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকে এক ক্লাসে আটকে রাখা যাবে না। আরও সহজ করে বললে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সবাই পাশ। শুধু তাই নয়, এই ব্যাপারে দেশের রাজ্য সরকারগুলি যে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে গ্রহণ করবে তাও মেনে চলতে হবে। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...