সামনেই ভোটগ্রহণ পর্ব, তার মধ্যেই চলছে বিভিন্ন পরীক্ষার খাতা দেখা| আর এই দুইয়ের মাঝে একপ্রকার সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়েছেন শিক্ষকেরা| সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে যে ইতিমধ্যেই শিক্ষা অভিযানের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তার অফিস থেকে শিক্ষকদের কাছে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এপ্রিলের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা| শুধুই তাই নয় দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষার ফলপ্রকাশও |
শিক্ষার আয়োজন থেকে শিক্ষাপদ্ধতি ও পরীক্ষার আয়োজন সমস্তটাই করে থাকেন শিক্ষকেরা। সেক্ষেত্রে ভোটের প্রশিক্ষণ ও খাতা দেখার কাজে যদি শিক্ষকরা ব্যস্ত থাকেন তাহলে পরীক্ষা গ্রহণ কিভাবে সম্ভব? পর্ষদের নির্দেশে স্কুলের পরীক্ষার তোড়জোড় ও ব্যবস্থা সমস্তটাই শিক্ষকদের করতে হচ্ছে| সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে যে পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী পরীক্ষা ও প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হোক| কিন্তু তা না করে যেভাবে ডেডলাইন দেওয়া হচ্ছে তাতে চাপ বাড়ছে শিক্ষকদের| শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কয়েকবছর ধরে যে পরিবর্তন এসেছে তাতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া তৈরী হওয়ায় এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড –ডে মিল থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেওয়া ইত্যাদিতে পড়ানোর পাশাপশি বিভিন্ন প্রকল্পে শিক্ষকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা থাকছে| বিভিন্ন তথ্য যোগাড় করা থেকে শুরু করে তা নথিভুক্ত করে পাঠানো ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোঁড়া স্বরূপ উদয় হয়েছে নতুন সমস্যা যার ফলে সমস্যার সম্মুখীন স্কুল শিক্ষকেরা| তারা যদি ভোটগ্রহনের নানা কাজে ব্যস্ত থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে একথা জানিয়েছে শিক্ষককুল|
শিক্ষকেরা চারদিকে ব্যস্ত থাকার ফলে শিক্ষাদান প্রক্রিয়াটাই ব্যাহত হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা পড়ুয়াদের বিশেষ ক্লাস নিয়ে তৈরী করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। এটা একটা ভাল দিক বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষকই