‘ট্যাটু’ অর্থাৎ শরীরে কিছু খোদাই করা যা সহজে মুছে যাবে না, তা সে লেখায় হোক, কোনো ইঙ্গিত কিংবা কোনো চিত্র...’ট্যাটু’ জীবনের শেষ দিন অবধি শরীরের সঙ্গে থেকে যায়। ইদানিং ‘ট্যাটু’ ট্রেন্ডে এলেও, এই প্রথা কিন্তু নতুন নয়, এই ট্যাটু করার প্রথা সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই আমাদের সঙ্গে চলে আসছে। তবে ট্যাটু করার আগে এই পদ্ধতি কতটা ক্ষতিকারক আমাদের শরীরের জন্য তা অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত, কারণ ট্যাটু থেকে সৃষ্টি হয় নানা ‘অ্যালার্জিক রিয়াকশন’।
সূত্রের খবর, পূর্বে গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে ট্যাটুর মধ্যে যে কালি ব্যবহার করা হয়, তাতে উচ্চ মাত্রায় নিকেল, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট ও মার্কারী থাকে, সে জন্য এটি আমাদের শরীরের লসিকা গ্রন্থির মধ্যে দ্বীপান্তরিত হয়, যার ফলে নানান অ্যালার্জিক রিয়াকশন হয়| তবে এবার জানা যাচ্ছে, ট্যাটু বানানোর সুঁচ থেকেও ‘মেটাল’ আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে সক্ষম। সাবধান থাকুন এক্ষেত্রেও!
বিজ্ঞানীরা ১২টি ট্যাটু করার স্টিলের সুঁচ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন...সেই সুঁচগুলিতে ক্রোমিয়াম ও নিকেল পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা সুঁচগুলিকে ব্যবহার করার আগে ও পরে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষণায় দেখা যায়, সুঁচগুলি ব্যবহার করার পর সুঁচের গায়ের নিকেল ও ক্রোমিয়াম অনেকাংশে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়েছে।
কিন্তু কিভাবে এটি সম্ভব? এর মূলে কারণটি কি?
গবেষণায় জানা যায়, ট্যাটুর কালিতে একটি রাসায়নিক যৌগ, ‘টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড’, ব্যবহার করা হয় যা কালির রঙকে আরো উজ্বল করে তোলে। এই ‘টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড’ সুঁচের মেটাল ক্ষয় করতে সক্ষম। তবে কালো কালি ব্যবহার করলে এই ক্ষয় হয় না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
এই গবেষণার মুখ্য প্রতিবেদক, ‘জার্মান ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক প্রটেকশন’ সংস্থার ইনেস স্ক্রিভার জানিয়েছেন, সচেতন থাকতে হবে ট্যাটু অঙ্কনে। কারণ তাতে ঝুঁকি থাকতে পারে, হতে পারে নানান অশুদ্ধি যাতে আপনার শরীরে অ্যালার্জেনিক বা কারসিনোজেনিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। ট্যাটু নিয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।