স্বপ্নাদেশে মা লতার পায়ে পরিয়ে দিয়েছিলেন সোনার নূপুর, কেন?

সাদা শাড়ি। দুই বেণী। কপালে লাল টিপ আর গায়ে জড়ানো আঁচল। বহুদিন পর্যন্ত তাঁকে এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত ছিল মানুষ। সে রেকর্ডিং স্টুডিয়ো হোক বা অনুষ্ঠানের মঞ্চ এই সাজের বাইরে তাঁকে কখনও অন্যভাবে দেখা যায়নি। পরে দুই বেণীর জায়গায় একবেণী ছাড়া আর কোনও বদল দেখা যায়নি তাঁর। অতি সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী ছিলেন। জীবনের কোথাও কোনও বাড়তি বিলাস ছিল না।

শাড়ির জমির রং ছিল সাদা আর পাড়ের রং হলুদ বা লাল, মেরুন। সিল্ক আর কটনের নানা প্রদেশের শাড়ি পরতেন তিনি।

05c2d3e2-ba36-43c0-9d0a-d60211f97384

সোনা আর হীরে খুব ভালবাসতেন। প্রথম পারিশ্রমিক দিয়ে মায়ের জন্য কিনেছিলেন সোনার গয়না আর নিজের জন্য হিরে আর রুবি বসানো আংটি। ‘এলএম’ খোদাই করা ছিল তাতে।

পায়ে থাকত সোনার নূপুর। ভারতীয় বিশেষ করে হিন্দু মেয়েদের পায়ে রূপোর নুপূর অত্যন্ত প্রিয় গহনা হলেও সোনার নূপুর পরার চল নেই। লতার পায়ে থাকত সোনার নূপুর। একবার রেকর্ডিং-এর সময় বাপী লাহিড়ির স্ত্রী চিত্রাণীর চোখে পড়েছিল তাঁর পায়ের নূপুর।

চিত্রাণী অবাক হয়ে আর থাকতে না পেরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তিনি পায়ে কেন সোনার নূপুর পরেন?’

উত্তরে লতা মঙ্গেশকরা জানিয়েছিলেন এক আশ্চর্য স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, ‘আসলে আমার মায়ের স্বপ্নে মা লক্ষী এসেছিলেন। মা লক্ষ্মী বলেছিলেন যে তোমার মেয়ে লতা দেবী সরস্বতী। ও সরস্বতীর বরকন্যা। ওর পায়ে সোনার নূপুর পরিয়ে দেবে।’

সেই থেকে লতা মঙ্গেশকরের মা তাঁর পায়ে সোনার নূপুর পরিয়ে দিয়েছিলেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...