মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতে রাজ্যের এএনএম-আর স্বাস্থকর্মীদের আধুনিক ট্যাব দেওয়া হবে। এএনএম-আর কর্মী বা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেলদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ৪০-৪২টি রেজিস্টার খাতা মেইন্টেইন করা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্যতম স্তম্ভ হল গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবাদান কর্মীরা। আলাদা আলাদা রেজিস্টার যথা, টিকাকরণের আলাদা খাতা, যক্ষা কর্মসূচির আলাদা খাতা, স্টক রেজিস্টার খাতা, ক্লিনিক রেজিস্টার খাতা আপডেট করতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেখান থেকে পরিত্রান পেয়ে যদি স্বাস্থ্যকর্মীরা টেকনোলোজির মাধ্যমে কম সময়ে অনেক ডেটা আপডেট করতে পারেন, তাহলে তাঁদের পক্ষে ভালোই হবে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্যাব কেনার সরকারি প্রক্রিয়া ও টেন্ডার সম্পূর্ণ হয়ে গেছে পুজোর আগেই। পুজোর ছুটির পর দফতর খোলার পর পরই রাজ্যের সবকটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মাধ্যমে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো প্রান্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ভরকেন্দ্রে কাজ করা ১০ হাজারের বেশি কর্মীর হাতে এই ট্যাব তুলে দেওয়া হল।
এই ট্যাবের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয় অ্যাপ 'অনমোল' -এর কাছে না দিয়ে নিজেদের কাছেই রাখতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানান, এখনও এইসব ট্যাবে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়নি। প্রথমে সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তারপর নেট সংযোগ দিয়ে ট্যাবগুলি চালু করা হবে। তবে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ করার সুযোগ দেওয়া হবেনা ওই সমস্ত ট্যাবে। এছাড়াও আউটগোয়িং কলের অপশন খুব সীমিত রাখা হবে, যাতে অহেতুক সরকারের সম্পত্তির অপব্যবহার না হয়। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ অজয় চক্রবর্তী জানান, জানুয়ারি থেকে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে। এই সময় থেকে এএনএম-দের একটি ট্যাব ৪০ খাতার রেকর্ড বহন করবে। ট্যাবটি স্বাস্থ্যকর্মীরা সঙ্গে করে নিয়েও ঘুরতে পারবেন। রাজ্যব্যাপী সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল এএনএম-আর এমপ্লয়িজ সোসাইটির রাজ্য সম্পাদিকা রেখা সাহু সরকারকে এই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এএনএম-আর দের নার্সিং ক্যাডারে অর্ন্তর্ভূক্ত করা এবং কাজ, বলা ভালো খাতার সংখ্যা কমানোর বহুদিনের দাবি অনুযায়ী ট্যাব অনুমদন করার জন্য সরকারের প্রতি তাঁরা কৃতজ্ঞ বলেও জানান তিনি।