গরমে 'হিট স্ট্রোক' সামলে

গ্রীষ্মের দাবদাহে থরহরিকম্প জেলা থেকে শুরু করে কলকাতা শহর| চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখের সবে দুটি দিন অতিক্রান্ত তারই মধ্যে গরমের এইরকম বাড়বাড়ন্ত দেখে চিন্তায় সকলে| শুরুতেই যদি এই প্রকারের গরম পড়ে তাহলে জৈষ্ঠ্যের ভরা গরমে কি অবস্থা হবে?

গরম বাড়ার সাথে সাথে চারদিকে সম্ভাবনা বাড়ছে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার| বিশেষ করে অতিরিক্ত রোদ থেকে হিট স্ট্রোক হতে পারে। যা একটি যথেষ্ট ক্ষতিকারক অসুখ হিসেবে গণ্য করা হয়।  কিন্তু একটি মানুষ যে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে তা কিভাবে বুঝবেন?

যদি কখনো খেয়াল করেন আপনার নিজের বা অন্য কারোর এই লক্ষণগুলি দেখতে পাচ্ছেন তাহলে বুঝবেন সে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে চলেছে| হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আগে সাধারণত গায়ের ত্বক শুকিয়ে যায় এবং তাতে লালচে ভাব আসে| ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একট অন্যতম লক্ষণ| হিট স্ট্রোকের অ্যাটাকের আগে মানুষের শরীরের রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে| এই সময় নাড়ির স্পন্দন কখনো অত্যন্ত ক্ষীণ এবং কখনো অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায়| এই লক্ষণগুলির সাথে সাথে শরীর দুর্বল লাগা,  মাথা ঘোরা,  চোখে কিছু দেখতে না পাওয়া অর্থাৎ চোখে অন্ধকার দেখা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে| হিট স্ট্রোকের সময় শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়| এই সময় শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইটের কাছাকাছি থাকে|

হিট স্ট্রোকের লক্ষনগুলি জানা হলো| কিন্তু হিট স্ট্রোকের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কি কি করা উচিত চলুন এবার তা জানা যাক....

১) এই গরমে যথা সম্ভব হালকা পোশাক পরার চেষ্টা করুন| গায়ের মধ্যে চেপে বসে থাকে সেরকম পোশাক এই গরমে এড়িয়ে চলাই ভালো|

২) এই গরমে সকালে বাইরে বেরোতে হলে ডিপ কালারের কাপড়জামা যতটা সম্ভব কম পড়ুন| সকালে পরার জন্য সাদা বা অন্য কোনো হালকা কালারের জামা বাছুন|

৩) যদি আপনার কাজ সারাদিন বাইরে ঘুরে ঘুরে করতে হয় তাহলে একটানা কাজ না করে এক একটি কাজ করার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ করা উচিত|

৪)  হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গরম থেকে সরিয়ে ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত| কাছাকাছি যদি এমন কোনো জায়গা থাকে যেখানে এসি চলছে সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া উচিত|

৫) হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করতে হবে| তাই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর যদি ভেজা কাপড় দিয়ে মোছানো যায় তাহলে উপকার মিলতে পারে|

৬) প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার পর আক্রান্তের জ্ঞান আসা মাত্রই তাকে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যান বা কাছাকাছি কোনো ডাক্তারর চেম্বার থাকলে সেখানে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করান|

অতিরিক্ত গরম পড়ে গেছে তাই বাড়ির বাইরে বেরোনোর সময় ছাতা ও জল সঙ্গে অবশ্যই নেবেন| রোদচশমা ব্যবহার করতে আপনি যদি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তবে রোদচশমা সাথে নিয়েই ঘর থেকে বের হন| শরীরের খেয়াল রাখুন, প্রচুর জল খান আর কোনও অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন|    

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...