কাঁকনের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান শ্বেতা

টেলিদুনিয়ার আনকোরা মুখ নন শ্বেতা ভট্টাচার্য। সিঁদুর খেলা ধারাবাহিক দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর টেলি কেরিয়ার। শুরুতেই লিড রোলে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপর একে একে ভালবাসা ডট কম, জরোয়ার ঝুমকো, তুমি রবে নীরবে, ‘জয় কানহাইয়া লাল কি’-তেও নিজের অভিনয় ক্যারিশ্মা দেখিয়েছেন শ্বেতা। অনেক ছোট বয়স থেকেই নাচ করতেন। ভাবেননি কখনও যে অভিনয় করবেন। সেই শ্বেতার হঠাতই অভিনয়ে চলে আসা। শুরুতেই শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন। এরপর ভালবাসা ডট কম থেকেই তাঁর ব্লু’জ এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে শুরু হয় পথচলা। জরোয়ার ঝুমকোতেও প্রযোজক-পরিচালক হিসেবে তিনি পেয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। এমনকী ‘তুমি রবে নীরবে’ ধারাবাহিকেও ওই একই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এরপর হিন্দি ধারাবাহিক ‘জয় কানহাইয়া লাল কি’-তে বেশ কিছুদিনের জন্য মুম্বইবাসী হয়ে যান তিনি। সেখানেও তাঁর অভিনয়সৌকর্য দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন স্নেহাশিস বাবুই। আর এবার ‘কণক কাঁকন’- ধারাবাহিকের হাত ধরে আবারও এক লড়াকু মেয়ের চরিত্রে দর্শকের সামনে আসতে চলেছেন তিনি।

1 (1)

ধারাবাহিকের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জিয়ো বাংলার এই প্রতিনিধিকে শ্বেতা জানান- “স্নেহাশিস দা আমাকে যে সুযোগ করে  দিয়েছেন তাতে আমি ধন্য বলে মনে করি নিজেকে। আর এবার তো আমাকে এমন একটা চরিত্র দিলেন যার সঙ্গে আমার হুবহু মিল।

কীরকম মিল? শ্বেতা জানান, কাঁকনের শ্বাসকষ্ট আছে। শ্বেতারও আছে। কাঁকন শ্বাসকষ্টের কারণে নাচ করতে পারে না। শ্বেতারও একদিন শ্বাসকষ্টের কারণে নাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজকাল আবার শুরু করেছি। আমাকে দর্শক ধারাবাহিকে যে ইনহেলারটা নিতে দেখবেন সেটা আমি সত্যিই নিই। ওটা আমারই। সিনেও সেটা আমি সত্যিই নিই। ওখানে অভিনয় নেই। কাঁকন নাচ করতে না পারায় যে কষ্ট পায় সেই একই কষ্ট শ্বেতাও পায়। এখন তাই অভিনয়টাকেই ভালবাসতে শুরু করেছি। আরও এক বড় জায়গায় মিল আছে শ্বেতার সঙ্গে কাঁকনের। কাঁকনদের যে আর্থিক কষ্ট সেই কষ্ট শ্বেতারও ছিল একদিনআজ সামলে উঠতে পেরেছি। অভিনয় না করলে সেটা সম্ভব হত না। একটা একচিলতে ঘরে থাকতাম আমি, মা আর বাবা। এমনও দিন গেছে যে নুন দিয়ে ভাত মেখে খেয়ে বেরিয়ে গিয়েছি। আজ অনেকটাই ভাল আছি আমরা। বাবা-মাকে নিয়ে আমার আজ গোছানো সংসার। আতিশয্য নেই হয়ত। আছে অনেক ভালবাসা।...

2 (1)

জয় কানহাইয়া লাল কি ধারাবাহিকের দৌলতে মুম্বইতে পাড়ি দিলেও আর মুম্বই গিয়ে পুরোদমে কাজ করার ইচ্ছা নেই শ্বেতার। কারণ বাবা-মায়ের প্রতি অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁকে। আর সেটা দূরে চলে গিয়ে সম্ভব নয়। তাই কলকাতাতেই কাজ করতে চান তিনি। সেখানেই সুখী শ্বেতা।

বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছা নেই? শ্বেতা এই প্রশ্নের উত্তরে জানান, আছে। কিন্তু আমি খোলামেলা জামাকাপড় খুব একটা পরতে পারি না। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতেও স্বচ্ছন্দ নই। তাই আমার মনে হয় এখনই আমি বড় পর্দার জন্য ঠিক উপযুক্ত নই। সাদামাটা চরিত্র হলে আপত্তি নেই।

3 (1)

শ্বেতার একের পর এক কাজ স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গেই। এই কথার রেশ টেনে তিনি জানান- “অনেক চরিত্রেই অভিনয় করলাম। কিন্তু এই কাঁকন চরিত্রটা একদম আমার কথা বলে। মনে হচ্ছে বাস্তবে আমারই আরেক নাম হয়ত কাঁকন। দাদা কী ভাবে এটা বানালেন এটা ভেবেই আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। নিজের জীবনের সঙ্গে যদি কোনও চরিত্র মিলে যায় সেই চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আশাকরি কাঁকন চরিত্রটিকেও দর্শকের সামনে ভাল ভাবে তুলে ধরতে পারব, ঠিক স্নেহাশিস’দা যেমনটি চান।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...