পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ছাপান্ন ভোগের কথা সবারই জানা, তার মধ্যেই মিষ্টির অনেকরকম পদ আছে, আজ তেমন এক বিখ্যাত মিষ্টির কথাই বলব। সেই বিশেষ পদ হল - পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সন্ধ্যা ধুপ ভোগে নিবেদিত রসাবলি। যদিও কথিত আছে, বলরামের পছন্দ এই মিষ্টি সন্ধ্যাধূপের এক বিশেষ আকর্ষণ।
এই রসাবলি প্রথম নিবেদন করা হয় কেন্দ্রপাড়ার বলদেবজীর মন্দিরে বলদেবকে (বলরামকে)। আজও সেখানে নিবেদন করা হয়, তবে রসাবলি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ছাপান্ন ভোগের এক বিশেষ আকর্ষণ। বানানো খুব সহজ, আর লাগে না তেমন বিশেষ অনুপান। রইল রেসিপি, চাইলে বানাতেই পারেন।
উপাদান: ২ লিটার দুধ (তার মধ্যে ১ লিটার দিয়ে কাটা হবে ছানা), ১ টেবিল চামচ চিনির গুঁড়ো (যদিও মন্দিরে মিশ্রির গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়), ২টো এলাচ, ১ টেবিল চামচ ময়দা, ১ কাপ চিনি, ১/৪ ভাগ বেকিং সোডা, ৪ টেবিল চামচ দই দুধ কাটার জন্য, ভাজার জন্য ১/৪ কাপ ঘি। দই দিয়ে ছানা কাটলে কোনো গন্ধ থাকবে না, জগন্নাথ মন্দিরেও এইভাবেই ছানা কাটা হয়। ১ লিটার দুধ ফুটিয়ে জাল দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে ৪ টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে একটু জল মিশিয়ে আস্তে আস্তে দুধে মেশালেই দেখা যাবে দুধ ছানা কেটে গেছে।
এবার একটা পাত্রে ছাঁকনির উপর একটা সুতির কাপড় দিয়ে তার মধ্যে দিয়ে ছানা জল ঝরিয়ে নিতে হবে। হাত দিয়ে চাপলে ছানা শক্ত হয়ে যাবে। তাই কাপড়। কিছুক্ষন পর ওই জল ঝরানো ছানা হাতের তালু দিয়ে মিনিট পাঁচেক মিহি করে মেখে নিতে হবে, যাতে কোনো দানা না থাকে। এবার ১ টেবিল চামচ ময়দা, ছানার সাথে দিয়ে আবার ভালো করে মিনিট পাঁচেক মাখতে হবে।
এবার ১ টেবিল চামচ চিনি (গুঁড়ো হলে ভাল হয়), ১/৪ ভাগ বেকিং সোডা নিয়ে নরম করে মেখে ছোট বল তৈরী করে মাঝে একটা গর্ত করে দিতে হবে। এবার গরম ঘি তে মিডিয়াম আঁচে ভাজতে হবে ছানার বল, বেশি কড়া আঁচে ভাজলে ছানার বল ভেঙে যাবে।
এবার ১ লিটার দুধ জাল দিয়ে তাতে ১ কাপ চিনি, ১ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো নিয়ে ক্রমাগত নাড়াতে হবে যাতে তলা ধরে না যায়, ঘন হলে তার মধ্যেই এই ভেজে রাখা রসাবলি দিয়ে ফুটিয়ে নরম হলেই তৈরী ছাপান্ন ভোগের এক পদ, উপর থেকে ছড়িয়ে দিন পেস্তা। তৈরী জগন্নাথ দেবের দাদা মানে বলরামের পছন্দের মিষ্টি। চেখে দেখতে পারেন, ভোগের মিষ্টি তাই স্বাদ অতুলনীয়।