এক্সপেরিমেন্টাল নানা পিঠের আবির্ভাব হলেও আজ বলব পিঠে পরিবারের ঐতিহ্যবাহী, প্রাজ্ঞ এক সুগন্ধি সদস্যের কথা, যার নামটি বেশ অদ্ভুত - চন্দনকাঠ পিঠে। কাঠ দিয়ে পিঠে? এও কি সম্ভব? অন্তত নাম শুনে তো তেমনই মনে হচ্ছে। আজ এই রহস্যের সমাধান হবে।
না, আদৌ কোনো কাঠের ব্যবহার হয় না এই পিঠেতে। কিন্তু চিরাচরিত এমন কিছু উপকরণ ব্যবহৃত হয় যে, তাতে এর রং হয় চন্দনের মতো এবং সুগন্ধ ও স্বাদ, সে তো বলাই বাহুল্য। তাই নাম এর চন্দনকাঠ পিঠে। কিন্তু কি সেই উপকরণ? জানাব সেই কথা।
এই পিঠে বানাতে লাগবে ১/২ কাপ গোবিন্দভোগ, ৫০০ মিলি (১/২ লিটার) দুধ, ১৫০ গ্রাম পাটালি গুড়, ১/২ কাপ কোরানো নারকেল, ২ টেবিল চামচ কাজু বাদাম, ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো, ১ চামচ ঘি আর বেশ খানিকটা ধৈর্য্য
প্রণালী: গোবিন্দভোগ চাল ৪-৫ ঘন্টা ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে দুধ ফুটিয়ে চাল গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে। এবার নারকেল কোরা দিয়ে ফুটিয়ে ঘন করতে হবে। এবার পাটালি গুড় দিয়ে গলিয়ে মেশাতে হবে আসতে আসতে। পাটালি গলে ঘন দুধের সাথে মিশে রং চন্দন কাঠের মতই দেখাবে। নাড়ানো যেন বন্ধ না হয় তাহলে তলা ধরে যেতে মানে পুড়ে যেতে পারে। এবার ঘন হয়ে এলে ঘি, কাজু, এলাচগুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস বন্ধ করে স্ট্যান্ডিং টাইম দিয়ে জমে গেলে আপাতত তৈরী এই পিঠে।
এবার একটা থালায় ঘি ভাল করে মাখিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে ওই গরম মিশ্রণ, আর গোবিন্দভোগের মিষ্টি গন্ধ, সাথে বাকিদের মিশেলে আসবে এক সুন্দর গন্ধ। এবার ঠান্ডা হলে নিজের ইচ্ছে মতো আকারে কেটে পরিবেশন করলেই চন্দনকাঠ পিঠে রেডি।
একটু ধৈর্য্য ও সময় সাপেক্ষ হলেও স্বাদ বলাই বাহুল্য। না আপাতত নিজের দক্ষতার উপরেই আপনাকে ভরসা রাখতে হবে, কারণ আপাতত এই ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী পিঠে অনলাইনের বাইরে। রেসিপি তো রইল, বানিয়ে ফেলুন ওপার বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠে চন্দন কাঠ।