মিষ্টির নাম "সানউইং ম্যাকিন"

বাঙালীরা ভোজন রসিক, তারা মিষ্টি ভালোবাসে এই সব নিয়ে তো তর্ক-বিতর্ক চলতেই পারে, কিন্তু তা বলে অন্য দেশে কি মিষ্টি পদ নেই নাকি? বিলক্ষণ আছে। তারাও উৎসবে রীতিমত জম্পেশ করে মিষ্টি বানায় ও খায়। ভাষার তারতম্যে নামের পার্থক্য থাকলেও বানানো কিন্তু সহজ। আজ যাবো মায়ানমার অর্থাৎ প্রাচীন বার্মাতে মিষ্টি খেতে তাও ভিসা ছাড়াই। কোনো মাইক্রোওভেন বা ওটিজি লাগবে না, এক্কেবারে গ্যাসে হবে এই সানউইং ম্যাকিন। নামের মানে কি ভাবছেন তো! বলব সাথে রেসিপিও।

নাম এমন হলেও, এটি কিন্তু এককথায় সুজির কেক। হাতে সময় থাকলেই খুব সহজ উপকরণ দিয়েই এই বিদেশী মিষ্টির স্বাদ প্রতক্ষ্য করা সম্ভব। রইলো রেসিপি, বানিয়েই দেখুন।

উপকরণ:২৫০ গ্রাম সামলিন পাউডার (সুজি),১০০গ্রাম চিনি, ২৫০ মিলিলিটার নারকেলের দুধ, ২০০ মিলিলিটার ঘনদুধ, ২৫০ মিলি লিটার জল, ২৫গ্রাম ঘি (গলানো মাখন দেওয়া যেতে পারে), ২০ গ্রাম সাদা তেল, ২টো ডিম, পোস্ত বা তিল (সামান্য)

প্রণালী:২৫০ গ্রাম সামলিন পাউডার (সুজি) ফ্রাইং প্যানে মিডিয়াম আঁচে ক্রমাগত নাড়িয়ে মিনিট দশেক ভেজে ঠান্ডা করে তাতে ১০০ গ্রাম চিনি, ২৫০ মিলিলিটার নারকেলের দুধ,২০০মিলিলিটার ঘন দুধ (বা কনডেন্স মিল্ক), ২৫০ মিলিলিটার জল, ২৫ গ্রাম ঘি (গলানো মাখন দেওয়া যেতে পারে), ২০ গ্রাম সাদা তেল দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ক্রমাগত নাড়িয়ে বেশ খানিকটা জল শুকিয়ে ঘন হলে ২টো ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যেই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ডো -এর মতো করে কড়াই থেকে নামিয়ে রাখতে হবে। এবার একটু বড় পাত্রে তেল বা মাখন ব্রাশ করে তার মধ্যে পোস্ত বা তিল ছড়িয়ে তার মধ্যে ওই ডো ভালো করে পাতিয়ে সেট করে লো হিটে ঢাকা দিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে উল্টো পিঠ আবার মিনিট ১৫ রেখে গ্যাস অফ করে ঠান্ডা করে প্লেটে ঢেলে বরফির আকারে কেটে নিলেই তৈরী বার্মার স্পেশাল সানউইং ম্যাকিন।

SanwinMakin1

মূলত বার্মার নতুন বছর (এপ্রিলের মাঝামাঝি) অর্থাৎ থিংগিয়ান উৎসব, তাজাঙগডিং উৎসবে (বর্ষা ঋতুর শেষ দিন উদযাপন) এই বিশেষ মিষ্টি বানানো হলেও সারা বছরই এই মিষ্টির চাহিদা থাকে। তবে বাঙালির আবার খেতে গেলে উৎসবের দরকার হয়! খাবার বানালেই উৎসব, তাই বানিয়ে ফেলুন সানউইং ম্যাকিন থুড়ি সুজির কেক।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...