আজ অর্থাৎ পয়লা জুলাই প্রতিবছর ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন উপলক্ষ্যে পালিত হয় ডক্টর'স ডে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেও জানিয়েছি, আজ দিল্লির ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের হেডকোয়ার্টার্স(আইএমএ) তথা দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ মার্গের অফিসের নামকরণ হতে চলেছে ডঃ বি সি রায় আইএমএ হাউস। যা বাংলার ডাক্তার তথা সমগ্র বাংলা জাতির জন্য গৌরবের।
পাশাপাশি বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও হতে চলেছে কিছু রদবদল। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আরও বেশি মানুষকে যুক্ত করতে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে পার্মানেন্ট এনরোলমেন্ট সেন্টার বা নাম নথিভুক্তি কেন্দ্র চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্যদফতর থেকে গত সপ্তাহেই জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ এসেছে, ব্লকে ব্লকে এই সেন্টার চালু করার জন্য। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা দিল্লি থেকে চলেও এসেছে। তাঁদেরকে এবারে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়াও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও মানুষের কঠিন রোগের কারণে দ্রুত স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড প্রয়োজন হলে তাদের তিন দিনের মধ্যেই তা দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি জেলায় একজন অতিরিক্ত জেলাশাসককে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এই সেন্টার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার হাওড়ায় প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আপাতত এই এনরোলমেন্ট সেন্টার করতে হবে। উপভোক্তা যাতে সঠিক সুযোগ পেতে পারেন তার জন্য ব্লকস্তরে স্বাস্থ্যসাথীর এনরোলমেন্ট সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই কাজের জন্য একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এতদিন রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবীমা যোজনার অধীনে ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে ছিলনা, তাই তাদেরকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছিলনা। সরকার যেহেতু তাদের নামের তালিকা পেয়ে গেছে, তাই এবারে আর কোনো অসুবিধা হবেনা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্তকরণে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পান কার্ড হোল্ডাররা। তার জন্য তাদের কাছ থেকে বীমার কোনোরকম টাকাও নেওয়া হয়না। রাজ্য সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদি কেউ কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত হন, যাঁর ওই কার্ড নেই, তাহলে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে কার্ড দেওয়া হবে। যে অতিরিক্ত জেলাশাসকের ওপর এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাকে বলে রাখা হয়েছে, তাঁর কাছে এমন আবেদন এলে যেন তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই আবেদনপত্র স্বাস্থ্যভবনে পাঠান। আবার স্বাস্থ্য দফতরকেও বলে রাখা হয়েছে যাতে পরদিনই তার অনুমোদন জেলাশাসককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তাই বলাই যায়, এই ব্যবস্থার ফলে প্রচুর মানুষ সরকারি সুযোগ পাবেন। যাঁরা আর্থিক কারণে চিকিৎসার সুযোগ পেতেননা, তাঁদের যথেষ্ট সুবিধা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। পাশাপশি জরুরি ভিত্তিতে কার্ড করার যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।