ছোটবেলায় শোনা বুদ্ধিমান কাকের গল্পটা তো সকলেরই জানা। তৃষ্ণার্ত কাক সামাণ্য জলের আশায় এক কলসীর কাছে এসে দেখে জল প্রায় তলে পড়ে আছে। তাই সে নুড়ি পাথর ফেলে ফেলে জলের মাত্রা বাড়িয়ে সেই জল খেয়ে তৃপ্ত হয়। বর্তমানে মানুষের সমস্যা সম্পূর্ণ সেই কাকের মত। তারা তৃষ্ণার্ত কিন্তু জলের মাত্রা কলসীর মত ভুগর্ভের প্রায় তলানিতে।
তাই এখন সেই কাকের মত নুড়ি পাথর ফেললে তবেই জল পাওয়া যাবে। আর সেই নুড়ি পাথর আর কিছু না শুধুই বৃক্ষরোপন। জলসঙ্কটের ভয়াবহ রুপের বিরুদ্ধে সমাজকে অবগত করতে ও এই অমূল্য সম্পদের রক্ষনার্থে স্বপ্নার বাগান যুবক বৃন্দোর এইবছরের থিম “জীবন সঙ্কটের হাতছানী”। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিও-তে উপস্থিত ছিলেন সেই ক্লাবের দুই সদস্য সৌমো চক্রবর্তী ও জয় ব্যানার্জী।
সঞ্চালক নবনীতার সাথে তাদের পুজোর বিষয় জানলাম আমরাও। এইবছর ৬৬তম বর্ষে দুই শিল্পী অমিত ও অরিন্দম, পূজা মন্ডপকে পাঁচটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন যা জলের সংরক্ষন ও অপচয়ের ব্যাপারে জানাবে দর্শনার্থীদের। চতূর্থীর দিন উদ্বোধন দিয়ে শুরু হবে তাদের এইবছরের পুজোর পথচলা।
প্যান্ডেলের থিম কে আরও প্রাণবন্ত করতে থাকছে থিম মিউজিক ও আলোক সজ্জাও। সপ্তমি, অষ্টমী ও নবমী এই তিন দিনই থাকছে মহাভোজের আয়োজন। দশমীতে বিসর্জন দিয়ে শেষ হবে তাদের শারদোৎসবের পালা।
দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠ্ নামতে হবে গিরিশ পার্ক মেট্রো সেখান থেকে একটা অটো কর্ কাকুরগাছি, সেখান থেকে মানিকতলা মেন রোড হয়ে বেঙ্গল কেমিকাল পোস্ট অফিসের নিকট এই পূজা মন্ডপ।