আজ ১১ সেপ্টেম্বর। আজ থেকে ১২৯ বছর আগে আজকের দিনেই বিবেকানন্দ হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববন্দিত বিবেকানন্দ। ১৮৯৩ সালে কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয়েছিল দ্যি কলম্বিয়ান এক্সপোজিশন। সেই মেলার অন্যতম অনুষ্ঠান হিসেবে ছিল বিশ্বধর্ম সম্মেলন। তাতে ১০টি ধর্ম অংশগ্রহণ করেছিল। হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন স্বামী বিবেকানন্দ। জীবনের বহুবিধ বাধা অতিক্রম করে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের সান্নিধ্যে এসে নরেন্দ্রনাথ হয়ে ওঠেন বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর শুরু হয় লড়াই, সেই লড়াইয়ের মধ্যেই ভারতের বিবেকানন্দ হয়ে ওঠেন বিশ্বের বিবেকানন্দ, দিনটি ছিল ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এটি। যার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতের বীর সন্ন্যাসী।
মা সরদার অনুমতি নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ সালের ৩১মে তদানিন্তন বোম্বে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর পথে যাত্রা শুরু করেন। যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগৃহীত করেছিলেন তাঁর মাদ্রাজের শিষ্যগণ, মহীশুরের রাজা, রামনাদ, ক্ষেত্রীর রাজা অজিত সিংহ, দিওয়ান এবং অন্যান্য অনুসারীরা। শোনা যায়, ক্ষেত্রীগড়ের রাজা অজিত সিংহ যাত্রার পূর্বে স্বামীজীর বিবেকানন্দ নামটি প্রস্তাব করেন। আমেরিকা যাওয়ার পথে, তিনি চীন, জাপান এবং কানাডা ভ্রমণ করে হিন্দু ধর্মের প্রচার করেন এবং সেখানে ধর্মীয় নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ ও করেন। তুরীয়ানন্দ কিছুটা সঙ্গী ছিলেন। শিকাগো পৌঁছে স্বামীজী দেখতে পেলেন যে বিশ্ব ধর্ম মহাসভা আরম্ভ হতে এখনও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। তাছাড়া, প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকার অনুমতিপত্র তাঁর কাছে ছিল না। তিনি বোস্টনে চলে যান, সেখানেই তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হেনরি রাইটের স্বামীজির সাক্ষাৎ হয়। স্বামীজির প্রজ্ঞা, জ্ঞানে মুগ্ধ অধ্যাপক রাইট, বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য স্বামীজিকে আহ্বান জানান। রাইট যখন জানতে পারলেন স্বামীজির কাছে মহাসভায় যোগদানের জন্য কোন পত্র নেই, তখন তিনি বিবেকানন্দকে বলেছিলেন, আপনার পরিচয়পত্র চাওয়া অর্থ হলো সূর্যকে প্রশ্ন করা তার কিরণ দেওয়ার অধিকার আছে কিনা। অধ্যাপক রাইট নিজেই স্বামীজি সম্পর্কে লিখেছিলেন, স্বামীজি এমন একজন ব্যক্তিগত যার পান্ডিত্য আমেরিকার সমগ্র পন্ডিত ব্যক্তির সম্মিলিত পান্ডিত্যের চেয়েও অনেক বেশি। অবশেষে অসম্ভব সম্ভব হলো, বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামীজি অংশ নিলেন। তৈরি হল ইতিহাস। ৯ সেপ্টেম্বর স্বামীজি পুনরায় শিকাগো পৌঁছলেন।
১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় স্বামীজি প্রথম ভাষণ। আমার আমেরিকার বোন ও ভাইয়েরা, এই সম্ভাষণ দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন। যদিও বারবার ভয় পাচ্ছিলেন কিন্তু শেষবার তাকে না জানিয়েই নাম ডেকে দেওয়া হয়। তারপর বলতে উঠেই ভাই বোন সম্ভাষণ। এই সম্ভাষণ শুনেই উদ্বেলিত হয়েছিল মার্কিনীরা। বিবেকানন্দ অভিবাদন পেয়েছিলেন দুই মিনিট ধরে। বিশ্বের সর্ব প্রাচীন সভ্যতার দেশ ভারতের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর ভাষণ শুরু করেন। সভ্যতার পীঠস্থান, ভারতবর্ষ তার সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্বকে শিখিয়েছে সহিষ্ণুতা, শিখিয়েছে সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা, কীভাবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে হয়, সহিষ্ণুতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসছে, যা তপস্যা সিদ্ধ, জ্ঞানদীপ্ত মুনি ঋষিদের শিক্ষার ফল, যা আজ ভারতের অন্তর্নিহিত সত্ত্বার পরিচায়ক।
স্বামীজি নিজের উদ্বোধনী ভাষণে বলেন – "হে আমেরিকাবাসী ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ, আজ আপনারা যে আন্তরিক ও সাদর অভ্যর্থনা করেছেন, তার উত্তর দেওয়ার জন্য আমার হৃদয় অনিবর্চনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সন্ন্যাসী-সমাজের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সর্বধর্মের যিনি প্রসূতি-স্বরূপ,তাঁর নামে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোটি কোটি হিন্দু নরনারীর তরফে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। এই সভামঞ্চে সেই কয়েকজন বক্তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা প্রাচ্যদেশীয় প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে এরূপ মন্তব্য প্রকাশ করলেন যে, অতি দূরদেশবাসী জাতিসমূহের মধ্য থেকে যাঁরা এখানে এসেছেন, তাঁরাও বিভিন্ন দেশে পরধর্মসহিষ্ণুতার ভাব প্রচারের গৌরব দাবি করতে পারেন। যে ধর্ম জগৎকে চিরকাল পরমতসহিষ্ণুতা ও সর্বাধিক মত স্বীকার করার শিক্ষা দিয়েও আসছে, আমি সেই ধর্মভুক্ত বলে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আমরা শুধু সকল ধর্মকেই সহ্য করিনা, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করি। আমি সেই ধর্মভুক্ত বলে গর্ব অনুভব করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়ে আসছে, আমি সেই জাতির অর্ন্তভুক্ত বলে নিজেকে গর্বিত মনে করি।"
স্বামীজী আরও বলেন – "কোটি কোটি নরনারী যে স্তোত্রটি প্রতিদিন পাঠ করেন, যে স্তবটি আমি শৈশব থেকে আবৃত্তি করে আসছি, তাঁরই কয়েকটি পঙক্তি উদ্ধৃত করে আমি আপনাদের বলছি -বিভিন্ন নদীর উৎস বিভিন্ন স্থানে, কিন্তু তারা সকলে যেমন এক সমুদ্রে তাদের জলরাশি ঢেলে মিলিয়ে দেয়, তেমনি হে ভগবান, নিজ নিজ রুচির বৈচিত্র্যবশতঃ সরল ও কুটিল নানা পথে যারা চলছে, তুমিই তাঁদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। পৃথিবীতে এযাবৎ অনুষ্ঠিত সন্মেলনগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাসন্মেলন এই ধর্ম-মহাসভা গীতা-প্রচারিত সেই অপূর্ব মতেরেই সত্যতা প্রতিপন্ন করছি, সেই বাণীই ঘোষণা করছি -যে যেভাবে আশ্রয় করে আসুক না কেন, আমি তাহাকে সেই ভাবেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি। হে মনুষ্যগণ সর্বতোভাবে আমার পথেই চলিয়া থাকে।"
ধর্মীয় অহংবোধ ও আসহিষ্ণুতার উদাহরণ দিতে গিয়ে স্বামীজি কূপ মণ্ডকের কাহিনী উদ্ধৃত করেন, কূপ মণ্ডক যে সমুদ্র নিবাসী মণ্ডককে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল কারণ সে বলেছিল যে কূপের তুলনায় সমুদ্র অনেক বৃহৎ, কাজেই সেখানে বসবাস করে অনেক আরাম আছে। এই মানসিকতার ফলে কূপ মণ্ডকের জ্ঞান বৃদ্ধি হল, উন্নতি হল না সে চিরটাকাল কূপেই থেকে গেল। স্বামীজি অনুভব করেছিলেন যে সারা বিশ্বের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলিও 'কূপের ব্যাঙের' মত আচরণ করছে, তাদের সীমিত পরিসরের মধ্যে বসবাস করছে, ভিন্ন কোন প্রথা ও আদর্শ গ্রহণ করতে তারা অনিচ্ছুক। অন্যদের প্রতি সংকীর্ণ মানসিকতা অসহিষ্ণুতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
১১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের অবধি বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনের অধিবেশন চলে। ১৯ সেপ্টেম্বর, স্বামীজি হিন্দু ধর্মের উপর একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং "হিন্দু ধর্মের অর্থ"। এই বিষয়ে লিখিত ভাষণ পাঠ করেন। তিনি বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মগুলি অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম, জথরুষ্টপন্থা এবং ইহুদি ধর্মের বিষয়ে অবগত করান এবং খ্রিস্টধর্মের অস্তিত্ব ও উত্থান নিয়ে কথা বলেন। এরপর তিনি বেদান্ত, দর্শন, হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর, আত্মা এবং নশ্বর দেহের অবস্থাণের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য রাখেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ছিল উপসংহার, অর্থাৎ বিদায় সম্ভাষণ। স্বামীজি বলেন, "সাম্পদায়িকতা, গোঁড়ামি ও এগুলির ভয়াবহ ফলস্বরূপ ধর্মোন্মত্ততা এই সুন্দর পৃথিবীকে বহুকাল অধিকার করে রেখেছে। এরা পৃথিবীকে হিংসায় পূর্ণ করেছে, বরাবার একে নরশোণিতে সিক্ত করিয়াছে, সভ্যতা ধ্বংস করেছে এবং সমগ্র জাতিকে হতাশায় মগ্ন করেছে। এই সকল ভীষণ পিশাচগুলি যদি না থাকত, তাহা হইলে মানবসমাজ আজ পূর্বাপেক্ষা অনেক উন্নত হত। তবে ইহাদের মৃত্যুকাল উপস্থিত; এবং আমি সর্বতোভাবে আশা করি, এই ধর্ম-মহাসমিতির সন্মানার্থ আজ যে ঘন্টাধ্বনি নিনাদিত হয়েছে, তাইই সর্ববিধ ধর্মোন্মত্ততা, তরবারি অথবা লিখনীমুখে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার নির্যাতন এবং একই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর ব্যক্তিগণের মধ্যে সর্ববিধ অসদ্ভাবের সম্পূর্ণ অবসানের বার্তা ঘোষণা করুক ।"
তিনি এই বক্তৃতায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং সম্প্রীতিই যে মানুষের বেঁচে থাকার রসদ তা বুঝিয়ে দেন। মানুষে- মানুষে একে অপরের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একমাত্র রসদ যে এটিই তা তিনি উল্লেখ করেন। নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অন্যের উপর বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া, অপরের ধর্মকে ধ্বংস করে নিজের ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় সফল হওয়ার আশা করা, এগুলিকে সব অলিক স্বপ্নই বলতেন স্বামীজি। তিনি বলপূর্বক ধর্মান্তকরনের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
বিশ্বের দরবারে হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করে এসে তাঁর উপর কিন্তু পুষ্প বৃষ্টি বর্ষিত হয়নি। হ্যাঁ তাঁর জগৎ জোড়া নাম হয়েছিল। বক্তা স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে বিদেশী চুক্তিও করেছিল। আবার সেই সঙ্গেই বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনের আরেক ভারতীয় প্রতিনিধি প্রতাপ মজুমদার কটাক্ষ, কুউক্তি জুটেছিল স্বামীজির কপালে। বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে সফলতা প্রাপ্তির পর তাঁর সম্মানে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া ছিল বিরূপ। গুরুদাস মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, জন্মগত কায়স্থ নামের আগে 'স্বামী' যুক্ত করে ও কালাপানি অতিক্রম করে বিদেশ যাত্রা করার যে দুসাহস দেখিয়েছে তার জন্য তার মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিৎ। উত্তরপাড়ার মহারাজা, প্যায়ারিমোহন মুখার্জি বলেছিলেন তিনি তাঁকে স্বামীজী বলে সম্বোধন করবেন না। স্বামীজীর মৃত্যুর পর, বাংলা দৈনিক, অমৃতবাজার পত্রিকা তাঁকে 'মাংসাশী সন্যাসী' বলে উল্লেখ করে লেখে বেলুড় মঠের মাংস খাওয়া সন্ন্যাসীর মৃত্যু হয়েছে। যে সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ও সহিষ্ণুতার কথা স্বামীজি বলে এলেন আজীবন, সে জিনিস তাঁর ভাগ্য কোনদিন জুটল না। একেই বোধহয় ইতিহাসের নির্মম সমাপতন বলে।
বিশ্ব ধর্মসন্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ নয় দিনে মোট দশটি বক্তব্য রেখেছিলেন। দিন অনুযায়ী তাঁর বক্তব্যের বিষয় গুলি ছিল-
১। ১১ই সেপ্টেম্বর (সোমবার, বিকেল) ছিল- অভ্যর্থনার উত্তর দিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন।
২। ১৫ই সেপ্টেম্বর (শুক্রবার, বিকেল) - ভ্রাতৃভাব নিয়ে বক্তব্য। ( যেদিন বিখ্যাত কূপমুণ্ডকের গল্প তিনি বলেছিলেন)
৩। ১৯ শে সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার, বিকেল) - হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য।
৪। ২০ শে সেপ্টেম্বর (বুধবার, সন্ধ্যা) - খ্রিস্টানরা ভারতীয়দের জন্য কি করতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন। ভারতে খ্রিস্টান পদরীদের ভূমিকা, পৌত্তলিকা এবং পুনর্জন্ম নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছিলেন।
৫। ২২ শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার, সকাল) - গোঁড়া হিন্দুধর্ম এবং বেদান্ত : প্রশ্ন এবং উত্তর।
৬। ২৩ শে সেপ্টেম্বর (শনিবার, বিকেল) - ভারতের বর্তমান (তদানিন্তন) ধর্মাদি।
৭। ২৫ শে সেপ্টেম্বর (সোমবার, সকাল) - জাপানি বৌদ্ধমত।
৮। ২৫ শে সেপ্টেম্বর (সোমবার, বিকেল) - হিন্দুধর্মের সার কথা।
৯। ২৬ শে সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার, সন্ধ্যা) - বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের সম্পর্ক নিয়ে বলেছিলেন।
১০। ২৭ শে সেপ্টেম্বর (বুধবার, সকাল) - বিদায় বক্তব্য, ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
ধর্ম ছাড়াও স্বামীজি বিশ্ব ধর্মসন্মেলনের বিজ্ঞান শাখায় ৮ টি ভাষন দিয়ে ছিলেন। এই বিজ্ঞান নিয়ে বক্তব্যগুলির কথা আজ আর তেমন শুনতে পাই না। ধর্ম নিয়েও বক্তব্যের প্রসঙ্গে, সবাই কেবল ১১ই সেপ্টেম্বরের কথা বলেই ক্ষান্ত হয়ে যান। অথচ একটি নয়, ধর্ম শাখায় ধর্ম নিয়েই স্বামীজি ১০ টি বক্তব্য রেখেছিলেন। আবার অনেক বইতে বলা হয়েছে বিশ্ব ধর্মসম্মেলনে স্বামীজি ছয়টি বক্তব্য রেখেছিলেন। ১১ই সেপ্টেম্বর ছিল প্রথমদিনের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের ভাষণ। হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণকারী বক্তব্যটি স্বামীজি ১৯ শে সেপ্টেম্বর রেখেছিলেন।