কলকাতায় কবে হবে ভূতদের আগমন?

অনেক ঝড় ঝাপটা সামলে মুক্তি পেয়েছিল অনীক দত্ত পরিচালিত ছবি 'ভবিষ্যতের ভূত'। প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ছবির সকল কলাকুশলী। ঠিক তার পরদিনও সকাল থেকে ছবিটি ঘিরে দর্শকমনে উৎসাহ উদ্দীপনার অন্ত ছিল না। এক কথায় হাউজফুল চলছিল বেশ কয়েকটি শো। এরপর হঠাত সব চুপচাপ। আর টিকিট মিলছিল না হলে! অনলাইনেও আর কেউ বুক করতে পারছিলেন না টিকিট। খবর চাউর হতে সময় লাগেনি। জানা যায়, ছবি চলার মাঝেই বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রদর্শন। 'বন্ধ করনেওয়ালা'দের মুখে সেদিন একটাই কথা শোনা গিয়েছিল-- "হাই অথোরিটির নির্দেশে বন্ধ করা হল ছবিটির প্রদর্শন।" সমস্ত হল থেকে সেদিনই নামিয়ে দেওয়া হয় ছবির পোস্টার। এই হাই অথোরিটি আসলে কে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর ছিল না কারো কাছে। এই নিয়ে দফায় দফায় প্রতিবাদে শামিল হয় শিল্পীমহল।
প্রসঙ্গত, ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংবিধানের বাক-স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে-- এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয় প্রযোজনা সংস্থা। এমন ঘটনা ঘটানোর সঠিক কারণ জানতে চান তাঁরা। আর এই বাক স্বাধীনতায় থাবা বসানোর জেরেই আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা প্রশ্ন তুলেছেন, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর মুক্তির চারদিন আগে কেন পুলিশ দেখতে চেয়েছিল ছবিটি?
মনু সিংভির যুক্তিতে, হল কর্তৃপক্ষকে রাজ্য কখনোই বলতে পারে না যে কোন ছবি কতদিন দেখানো হবে। ছবির প্রচার বা বাণিজ্য সামলানো রাজ্যের দায়িত্ব নয়। এই মুহূর্তে ১০ টি হলে চলছে এই ছবি। কিন্তু তা কলকাতায় নয়। মনু সিংভির মতে, কলকাতার কোনও হল ছবিটি না দেখালে সেটা তাদের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত।
সব জল্পনার ঊর্ধে উঠে বিচারপতিরা জানান, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজি'কে হল মালিকদের জানাতে হবে ছবির প্রদর্শনে বাধা নেই। আর সেই নির্দেশ পালন করা হয়েছে বলে হলফনামা দিয়ে আগামী ১ এপ্রিল ফের শুনানির আগে সুপ্রিম কোর্টকে তা জানাতে হবে। একইভাবে এরপরও যদি সিনেপলিশ, পি ভি আর এবং আইনক্স ছবিটি না দেখায় তা হলে তাদের কাছে এর সঠিক কারণ জানতে চাওয়া হবে।
সূত্রের খবর, আমেরিকাতে ২৪ মার্চ ছবির টিকিট সোল্ড আউট হয়। কিন্তু শহর কলকাতায় কবে সেই ছবি দর্শক দেখবেন এখন সেটাই দেখার।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...