দূষণে জেরবার দিল্লির দূষণ কিভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে বারবার কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনওরকম অবস্থার উন্নতি হয়নি। সোমবার এ নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। এদিন সরাসরি এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে দায়ী করল সুপ্রিম কোর্ট।
তীব্র ভর্ৎসনার সঙ্গে বিচারপতি জানান, এ ভাবে না মেরে ১৫ কেজি বিস্ফোরক এনে সবাইকে একবারে মেরে ফেললেই সব মিটে যায়। এর আগে অনেকবার সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির দূষণ কমানোর জন্য সরকারকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়ে বারবার আলোচনাও হচ্ছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারপতি মিশ্রর নেতৃত্বে দিল্লিকে দূষণমুক্ত করার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছিল হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব সরকারের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের মধ্যে এই দুই রাজ্যে ফসলের উদ্বৃত্ত পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তবুও ফসলের উদ্বৃত্ত পোড়ানো তো কমেইনি, উল্টে আরও বেড়ে গিয়েছে। এদিন বিচারপতি মিশ্র আরও জানান, একবার কেন্দ্র রাজ্যকে দুষছে, আবার রাজ্য কেন্দ্রকে দুষছে। হরিয়ানা সরকার যদিওবা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, পঞ্জাব সরকার কোনওরকম ব্যবস্থা এখনও নেয়নি। তিনি পঞ্জাব সরকারের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, শুধুমাত্র ওই সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবেনা বলে কি দিল্লির এত মানুষ ক্যান্সারে মারা যাবেন? হরিয়ানা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপেও খুশি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার আরও জানানো হয়, স্মগ টাওয়ার এবং এন্টি স্মগ গান লাগানো হবে দিল্লি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এই উদ্দেশ্যে বিচারপতি অরুন মিশ্র এবং দীপক গুপ্ত বলেন, ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্র যাতে স্মগ টাওয়ারের সম্পূর্ণ একটি রোডম্যাপ তৈরী করে ফেলে। স্মগ টাওয়ারের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে দূষিত বায়ু কম কম করে বায়ু পরিশোধন করা যাবে। পাশাপাশি এন্টি স্মগ গানের মাধ্যমে অটোমাইস্ড জলবিন্দু বাতাসে স্প্রে করা যাবে, যার মাধ্যমে অবশ্যই দূষিত বায়ু বিনাশ হবে। এই উদ্যোগ গোটা শহরে নেওয়ার কথা জানান বিচারপতিরা। এন্টি স্মগ গানটি একটি ভ্রাম্যমাণ জলের ট্যাংক-এর সঙ্গে যুক্ত করা থাকবে, যাতে সেটা সারা শহর ঘুরে নিজের কাজ করতে পারে। এছাড়াও আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে, কিভাবে আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধ করা যায়।