আশির দশকের ‘সেনসেশন’। আসমুদ্র হিমাচলের দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। বলিউডের ‘মাইকেল জ্যাকসন’। বলিউডের সিঁড়ি ভাঙা অংকের শেষ টুকু সবাই মেলাতে পারে না। তিনি পেরেছিলেন। তাঁর স্ট্রাগল আর সাকসেস কাহিনী মিথ হয়ে গিয়েছে। তিনি লার্জআর দ্যান লাইফ। গৌরাঙ্গ ওরফে মিঠুন চক্রবর্তী।
কিন্তু জানেন কী তাঁর আদলে তৈরি হয়েছিল এক আস্ত কমিক চরিত্র?
জিম্মি ঝিনচ্যাক। একজন ডিস্কো এজেন্ট।
পরনে সাদা রঙের পলিয়েস্টার ডিস্কো স্যুট। কোমরে গোলাপী রঙের চওড়া কোমরবন্ধ। চোখ সানগ্লাসে ঢাকা। সে একজন ডান্সার। হাতে কর্ডলেস ইলেকট্রিক গিটার। পায়ের গোল্ডেন শ্যু দেখলে আলাদা করে বলে দিতে হয় না এই জিম্মি আসলে কে!
জিম্মির বান্ধবী মালা। তার এক ভাই আছে। নাম জনি। অনেক ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিল।
ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ড কোভার্ট অপারেশনের একজন গুপ্তচর জিম্মি। যদিও সে পরিচয় আড়ালে থাকে। তার আসল জায়গা ডান্স ফ্লোরে।
জিম্মির সুপার পাওয়ার গুপ্ত থাকে। তার লড়াই স্যার জন আর তার কোম্পানির সঙ্গে। দেশকে শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে লড়াই করে। জিম্মির সঙ্গী ছিল বলিউডের আর এক সেলিব্রেটি। ‘ দ্য নেকলেস ম্যান’ বাপ্পি লাহিড়ী।
‘জিম্মি ঝিনচ্যাক’ এর কাহিনী লিখেছিলেন সৌরভ মহাপাত্র। ইলাস্ট্রেশন করেছিলেন অনুপম সিনহা। ইউটিভি স্পটবয় এবং ভার্জিন কমিকসের যৌথ প্রচেষ্টায় আমেরিকায় ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কমিকসটি। ভারতীয় সংস্করণও বেরিয়েছিল।
আশির দশকের বলিউড ঘরানাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল এই গ্রাফিক্স নভেলের মাধ্যমে। বলিউডের চেনা সিনেমার পল্ট এর আদলে গড়ে উঠেছিল কমিকসের কাহিনী।