ডঃ বি সি রায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এন্ড রিসার্চে এ বছরের মধ্যেই বহির্বিভাগে রোগী দেখার ব্যবস্থা করা হবে। আইআইটি খড়্গপুরের তরফে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। দেশের মানুষ এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাননা। তাদের কথা ভেবেই এই ব্যবস্থার পরিকল্পনা বলে জানানো হয়েছে খড়্গপুর আইআইটি-র তরফে।
স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম পর্যায়ে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এমবিবিএস পাঠক্রম চালু করা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই পাঠকর্মে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে হবে ১০০। হাসপাতালের আন্তর্বিভাগে ৪০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। আশা করা হচ্ছে এই ব্যবস্থা আগামী বছরের মধ্যেই হয়ে যাবে। পরবর্তী পর্যায়ে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৭৫০ করা হবে। হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ১০ শতাংশ শয্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরিষেবার তথ্যবিজ্ঞান এবং তথ্য বিশ্লেষণের পাঠক্রমের পাঠক্রম ছাড়াও ডাক্তারিতে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম চালু হবে। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নীতি নির্দেশিকা মেনে এই পাঠক্রম চালু হবে।
এমবিবিএস পাঠক্রম ছাড়াও স্নাতকোত্তর পাঠক্রমটির শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আইআইটি খড়্গপুর পরিচালনা করবে। হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজের তত্ত্বাবধান হবে ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী গঠিত একটি পর্ষদের মাধ্যমে। এই পরিচালন পর্ষদের শীর্ষে থাকবেন খড়্গপুর আইআইটি-র ডিরেক্টর। এছাড়া পরিচালন পর্ষদের সদস্য হিসেবে থাকবেন আইআইটি-র শীর্ষস্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও রকম লাভের দিক বিবেচনা করা হবেনা। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্বাস্থ্য বীমা [প্রকল্প অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ শয্যার পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ করা হবে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে হাসপাতালগুলির সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানটি যৌথভাবে চলবে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার যন্ত্রপাতি নির্মাণে উৎসাহিত করতে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রযুক্তির উদ্ভাবন করার জন্য বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা দফতর-এর সহযোগিতায় একটি গবেষণা ও কারিগরি উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।