আজকাল সানস্ক্রিন মেখে বাইরে বেরোন না, এমন মানুষ হাতে গুনলে পাওয়া যাবে। আমরা যে যেমন কোম্পানির সানস্ক্রিন পাই, সে তেমনভাবেই তা ব্যবহার করি। কেউ লোশন কেউ বা পাউডার যার যেটা শরীরে সহ্য হয়, সে তেমনভাবেই লাগান। চারদিকে সূর্যালোক সম্বন্ধে জোর প্রচার-রোদ গায়ে লাগলেই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে ফটো পিগমেন্টেশন, ত্বকে গাঢ় কালো দাগ, ঘামাচি, ফোস্কা পড়ে যাওয়া, ট্যান, ফটো আলার্জির কথা বলা হয়। তবে এরকম অসুখ হতে পারে কিন্তু সীমিত সংখ্যক মানুষের, যাদের শরীরে রোদের আলো সহ্য করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে তো তা প্রযোজ্য হতে পারেনা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোদের আলো যথেষ্ট উপকারী।
১)গায়ে রোদ লাগলে 'টি সেল'গুলি প্রবলভাবে সক্রিয় হয়ে পড়ে। এই টি সেলগুলি কিন্তু আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
২)আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নাম একটি হরমোন ক্ষরিত হয়। যার ফলেই আমাদের ঘুম আসে।দিনের বেলায় প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোয় কাজ করলে রাতে মেলাটোনিন ক্ষরণ ভালো হয়। ভোরে উঠে কাজ করা সবচেয়ে ভালো।
৩)সূর্যালোক শরীরে 'ভিটামিন ডি' তৈরিতে সাহায্য করে। আমরা জানি, ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। আবার এমনও জানা যাচ্ছে, সূর্যালোকের অভাবে মিসক্যারেজ হবার সম্ভাবনা থাকে।
৪)বেশ কিছু সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে, ব্রেস্ট, কোলন এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে সূর্যের আলো।
৫)সঠিকভাবে সূর্যের আলো গায়ে লাগলে আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন ব্যাথা, যন্ত্রনা, অবসাদ কাটাতে বিশেষ উপকারী বলে মানা হয়।
৬)কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের গ্রোথ হরমোন ঘাটতি থাকে। এই হরমোনও কিন্তু ভিটামিন ডি-এর ফলে বৃদ্ধি পায়।
৭)রোদে অতিবেগুলি রশ্মি থাকে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই রশ্মির সংস্পর্শে আসলে ত্বক থেকে নাইট্রিক অক্সাইড নির্গত হয়। এই রাসায়নিকটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
তবে এটাও ঠিক, এখন চারদিকে যে পরিমান পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে, সেই দিক বিচার করে সারাদিন রোদের আলোয় কাটানো একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়, বরং সকাল ৮.০০ টার পর এবং ১১.০০টার আগে আধঘন্টা রোদে সময় কাটান। এই সময় রোদের অতিবেগুনি রশ্মি তুলনামূলক কম থাকে।