গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পৃথিবীব্যাপী পরিলক্ষিত হচ্ছে| বিশ্ব উষ্ণায়ন যার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী| মেরু প্রদেশের বরফ গলে বাড়ছে সমুদ্রতল| প্রায় প্রতিটি দেশই কিছু না কিছু প্রভাবের সমুক্ষিন হচ্ছে| সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘায়িত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মকাল| সেইভাবেই স্থায়িত্ব কমছে শীতকালের|

অস্ট্রেলিয়া ইনস্টিটিউটের দাবি, ১৯৫০ এর দশকের তুলনায় দেশের বৃহৎ অঞ্চলগুলি প্রতিবছর গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অতিরিক্ত ৩১ দিন করে অনুভব করছে| সিডনিতে ইতিমধ্যেই বছরে অতিরিক্ত ২৮টি করে উষ্ণ দিন আসতে শুরু করেছে| জানা গেছে, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে মেলবোর্নের অতিরিক্ত ৩৮ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে| জানা গেছে, নিউ সাউথ ওয়েলস শহর পোর্ট ম্যাককুরিয়ের মতো রিজিওনাল এলাকার বাসিন্দারা এই গ্রীষ্মের সাধারণ তাপমাত্রার আরও সাত সপ্তাহ অনুভব করতে চলেছেন| ১৯৫০ এর দশকে যে তাপমাত্রা নিয়মিত তিন মাসের গ্রীষ্ম হিসাবে বিবেচিত হত এখন তা নভেম্বরের প্রথম থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত না হয়ে পুরো মার্চ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ইনস্টিটিউটের জলবায়ু ও শক্তি কর্মসূচির পরিচালক রিচি মেরজিয়ান| তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গ্রীষ্মগুলি আরও দীর্ঘ হয়েছে, গত পাঁচ বছর গ্রীষ্মের তুলনায় দ্বিগুণ দীর্ঘ গ্রীষ্মের মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় শীতের ৩৫ দিন এবং দেশের পূর্বে অবস্থিত ব্রিসবেন শহর থেকে ৩১ শীতল দিন কমে গেছে| মেরজিয়ান জানিয়েছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দেশের ক্রমবর্ধমান গ্রীষ্ম জীবনযাপন বিপজ্জনক করে তুলছে, প্রচণ্ড উত্তাপের ফলে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ঘটনা সমস্ত প্রাকৃতিক ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এবং অস্ট্রেলিয়ায় অন্যান্য সমস্ত প্রাকৃতিক ঝুঁকির চেয়ে এই অতিরিক্ত গরমই অধিকাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল, তিনি বলেছিলেন।   

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...