ভারতের প্রথম আইএএস প্যারা-অ্যাথলিট


ব্যাডমিন্টন আমার কাছে মেডিটেশনের মতো, অন্য কাজে যতই ক্লান্ত থাকি না কেন কোটে নামলেই সব ক্লান্তি ভ্যানিশ!” কথাগুলো যাঁর তিনি দেশের খেলার ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। ভারতের প্রথম আইএএস যিনি টোকিও প্যারালিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করছেন ক্রীড়াবিদ হিসেবে। বিশ্বের তৃতীয় সেরা প্যারা-ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার।

 

নয়ডার গৌতম বুদ্ধ নগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্যারা ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার সুহাস এল ওয়াই ইয়াতিরাজ

 

ka 1

 

গুরুত্বপূর্ণ সরকারী পদে রয়েছেন। কাজের চাপও কম নয়। দায়িত্বভার আরও প্রবল। সে সব সামলে কীভাবে সময় বের করেন প্র্যাকটিসের জন্য?


সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই সুহাস জানিয়েছেন, ব্যাডমিন্টন তাঁর কাছে আধ্যাত্মিক অভ্যাসের মতো। যেটা ছাড়া একটা দিনই তিনি নিজেকে ভাবতে পারেন না। জীবনে কখনও ভাবেননি ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ হবেন। পড়াশোনাও খুব সাধারণ স্কুল কলেজে। তবে সিভিল সার্ভিসে আসার স্বপ্নটা ছিলই। তাই যখন সুযোগ পেলেন তখন ভীষণ খুশি হয়েছিলেন।

 

সুহাস কিন্তু এখানেও টক্কর দিয়েছিলেন সমানে সমানে। সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কম কঠিন ব্যাপার নয়!
তাঁর প্যারালিম্পিক্সে পৌঁছে যাওয়ার যাত্রাপথও যেন অনেকটা এভাবেই হয়েছিল।

 

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, আমি যদি পারি তাহলে বাকিরাও পারবে...

 

ka 2


কাজের চাপ আর ব্যাডমিন্টন - সবেতেই তিনি ক্লান্তিহীন। অফিসরুম আর ব্যাডমিন্টন কোট, দুয়ের ব্যালেন্স করেন কীভাবে?
সুহাস বলেন, সব রহস্য লুকিয়ে আছে টাইম ম্যানেজমেন্টের ওপর। সেটাই তাঁর কেরিয়ারে শেষ কথা।

 

অফিস শেষে অনেকেই সিনেমা দেখতে যায়। তিনঘন্টা টানা পর্দার দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও ক্লান্তি লাগে না, কারণ সিনেমাটা দেখে আনন্দ হচ্ছে, তাঁর কাছে দিনের শেষে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিসটাও তেমনি...

 

২০০৪ সালে কর্নাটকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে প্রথম বিভাগে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরেও মনে হয় জীবনে ঠিক যেটা চাইছেন সেটা হচ্ছে না, তখন সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

 

ka 3 (1)

 

তাঁর সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা। যা করতে চেয়েছেন তাতে কখনও বাধা আসেনি পরিবার থেকে। সব বাধা কাটিয়ে এগোতে পারার জন্য সেটাও অত্যন্ত জোরের জায়গা। আগামী প্রজন্মকেও একই কথা বলছেন সুহাস...যে যা বলুক, এগিয়ে যাও...

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...