সফল উৎক্ষেপণ ‘এমিস্যাট-এর

ভারত নিজেকে উপগ্রহের জগতে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে এবং ধাপে ধাপে সেই দিকে এগোচ্ছে। সম্প্রতি 'মিশন শক্তি' অপারেশন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে মহাজাগতিক গবেষণার কাজ। তার কিছুদিনের মধ্যেই এমিস্যাট ও ১৮টি বিদেশী উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইসরোসোমবার সকাল ৯টা বেজে ২৭ মিনিটে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ভারত। সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিএসএলভি-সি ৪৫ রকেটের মাধ্যমে ৪৩৬ কেজির সেনা সহায়ক উপগ্রহ, লিথুনিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকার ২৮ টি উপগ্রহ পাঠানো হয়।

    এমিস্যাটের সফল উৎক্ষেপণের ফলে এখন শত্রুপক্ষের রেডারে নজরদারি চালানো সহজ হবে। চীন ও পাকিস্তানের সামরিক গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ভারত-এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। নজরদারি উপগ্রহ 'এমিস্যাট'  সম্পর্কে তেমনভাবে কিছু জানায়নি ইসরো। ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক মেজারমেন্ট-শুধু এটুকুই জানানো হয়েছে আর বলা হয়েছে শত্রুপক্ষের রেডার সম্পর্কে তথ্য জানতে এখন থেকে আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। এমিস্যাট -ই মহাকাশ থেকে সব জানিয়ে দেবে। এই মিশনটি ইসরোর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মিশন হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কারন এই প্রথমবার একই সঙ্গে তিনটি কক্ষপথে উৎক্ষেপণ হল। এমিস্যাটের সফল উৎক্ষেপণের পর একথা জানান, ইসরো প্রধান কে সিভান। তিনি আরো বলেন, এমিস্যাটকে কক্ষপথে প্ৰতিস্থাপন করার পর ধীরে ধীরে কম উচ্চতায় বিভিন্ন স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপন করে ওই উপগ্রহ। তারপর আরও নিচে নেমে কক্ষপথ তৈরির কাজও সফলভাবে করে রকেটটি। ইসরোর ইতিহাসে এই রকম ঘটনা এই প্রথম। এই উপগ্রহের ৬০-৭০ শতাংশই ইসরোর বাইরে তৈরী করা হয়েছে। আগামী দিনে রিস্যাৎ ২-বি, কারটোস্যাট-৩ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পাশাপাশি চন্দ্রায়ন-২ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

 ডিআরও প্রধান জি সতীশ রেড্ডি এই মিশনের পর ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতের জোড়া সাফল্যে তিনি খুশি হয়েছেন বলে জানান। ৩০০ কিমি উচ্চতায় একটি উপগ্রহকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল মিশন শক্তি। এবার ইসরোর সহযোগিতায় এমিস্যাটকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব হল।

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...