শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নয়া পরিকল্পনা 'অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন'-এর। এবার শিক্ষকদের পদোন্নতিতে পড়ুয়াদের মতামত নেওয়া হবে। শিক্ষকদের পারফরম্যান্স ঠিক কেমন তা বিচার করতে দিতে হবে নম্বর। 'অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন'-এর নেওয়া নতুন নিয়মে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষকদের পদোন্নতি একটি পরীক্ষার মুখে পড়বে মনে করা হচ্ছে। নয়া নিয়ম বিধি মেনে কোনও শিক্ষকের পড়ানোর পদ্ধতি, নিজের বিভাগে তাঁর কার্যকলাপ, সমাজের প্রতি তাঁর অবদান ইত্যাদি সমস্ত বিষয় গুলি মূল্যায়ন করবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এরপরে তাদের দেওয়া মূল্যায়নের নিরিখেই শিক্ষকদের কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
চলতি মাসে এমনই বিজ্ঞপ্তি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। তবে এর ফলে যে সমস্ত শিক্ষকদের পদোন্নতির পক্রিয়া শুরু হবে, তাদের ক্ষেত্রেও এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, কাউন্সিলের করা নয়া নিয়ম অনুসারে সারা বছর ধরে একজন অধ্যাপক কেমন পড়ালেন, তার মূল্যায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। এই বিভাগের জন্য সর্বোচ্চ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫। মোট ছয়টি বিষয়ের উপর একজন শিক্ষকের পদোন্নতি নির্ভর করবে। প্রতিটি বিভাগের নির্দিষ্ট একটি করে নম্বর রয়েছে। এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বর ২৫ এবং সর্বনিম্ন নম্বর ১০ ধার্য করা হয়েছে। তাছাড়া পড়ুয়াদের পড়ানোর ক্ষেত্রে মতামত বিভাগে ২৫ নম্বর যেমন রয়েছে ঠিক তেমনই একজন শিক্ষকের পড়ানোর পদ্ধতিতেও রয়েছে ২৫ নম্বর। এর ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে ছাত্রছাত্রীদের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে কাউন্সিলের কর্তারা বলেন, পড়ানো কেমন হচ্ছে, কিংবা পঠনপাঠন কেমন হচ্ছে, এই সমস্ত ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আরও জানা যায় যে, প্রতি কোর্সে শিক্ষকদের ২৫ নম্বরের মধ্যে কত দেওয়া হচ্ছে তা ছাত্রছাত্রীরাই ঠিক করবে। এরপরে তার গড় করে চুড়ান্ত নম্বর দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি দেশের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অধ্যাপক মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।তারা জানিয়েছেন, যে একত্রে অনেক অধ্যাপকদের সাথে ছাত্রছাত্রীদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে সেক্ষত্রে নম্বর নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই নতুন ধরনের পরিকল্পনার ফলে শিক্ষকরা আরো বেশি সতর্ক হয়ে যাবে বলে শিক্ষক মহলের কিছু জনের মত।