সারা বিশ্বে যেভাবে উষ্ণায়ন ঘটে চলেছে, সেখানে বৃক্ষ রোপন করার যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃক্ষ রোপণের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সেখানে রাজ্যেও বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান আর্থিক বছরে গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৪০ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একশ দিনের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের শুধু গাছ লাগানোই নয়, গাছের দেখাশুনো করার জন্য তাদের বৃক্ষপাট্টাও দেওয়া হচ্ছে। একজন শ্রমিককে কমপক্ষে ১০০ এবং সর্বাধিক ২০০ গাছ দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে দেওয়া গাছগুলির মধ্যে যদি ৯০% গাছ বেঁচে যায়, তাহলে প্রতি গাছ পিছু ১০ টাকা করে দেওয়া হবে। যদি ৭৫% থেকে ৯০% গাছ বাঁচে, তাহলে গাছ পিছু ৫টাকা করে দেওয়া হবে। তবে লাগানো গাছের মধ্যে যদি একটাও গাছ না বাঁচে তাহলে কোনো তাকাই পাবেন না শ্রমিকরা। বেঁচে থাকা গাছের ফল বিক্রি করে বা গাছ কেটে যা আয় হবে, তার ৫০% শতাংশ পাবেন শ্রমিকেরা।
একশ দিনের কাজে বৈচিত্র এনেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। রাস্তা তৈরী, পুকুর কাটা, খাল খননের মত এক ধরনের কাজ নয় গাছ লাগানোর মত ভিন্ন ধরণের কাজও চলছে একশ দিনের কাজে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ ব্লকে গাছের চারা দেওয়ার প্রকল্পকে 'লক্ষ্মীশ্রী প্রকল্প' নাম দেওয়া হয়েছে। সেখানকার 'কন্যাশ্রী'দের নামে গাছ লাগানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত আম, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি সাধারণ ফলগাছের পাশাপাশি খেজুর গাছও লাগানো হচ্ছে। ভালো কাঠ পাওয়া যায় এইরকম গাছও লাগানো হচ্ছে। যাতে বেশি পরিমান গাছের চারা লাগানো যায়, সেই রকম উন্নতমানের বিজ্ঞানসম্মত নার্সারি তৈরী করা হচ্ছে। সেখানে চারা তৈরী হওয়ার পর তা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।