আমাদের সমাজে কিছু কিছু পেশা আছে যার ফলে মানসিক চাপ আমাদের সংঙ্গী হয়ে যায়। কিন্তু এই মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় স্ট্রেস-এর কবলে পড়ে যাই আমরা। ফল হয় মারাত্মক। অনেকে এই ডিপ্রেশনে গিয়ে কোনো সমাধান খুঁজে পাননা। আত্মহত্যাও করেন অনেকেই, মানসিক চাপ নিতে না পেরে। এই ধরণের পেশার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল পুলিশের পেশা। যে কাজে যেমন রয়েছে প্রচুর দায়িত্ব, তেমনি রয়েছে সঠিকভাবে না এগোতে পারার মানসিক চাপ। এই চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পুলিশের উদ্যোগে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায় আটটি থানায় আকুপ্রেশারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, বালুরঘাট পুলিশ লাইন থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এরপর বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, হিলি, বংশীহারি, কুশমন্ডি এবং হরিরামপুর থানাতে ইতিমধ্যেই এমন শিবির হয়েছে। পুলিশ কর্মী ও ভলান্টিয়ারদের দিনে একঘন্টা করে এই চিকিৎসা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এটি বহু প্রাচীন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। হাত ও পায়ের নির্দিষ্ট কিছু অংশে বিশেষভাবে চাপ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক মিনিট এই চিকিৎসা করলে অনেকটাই শারীরিক উপশম হয়। অবসর সময়ে কিছুক্ষন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলেই হবে। যাদের একটুও সময় নেই, তারা ম্যাট ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ, কিডনির সমস্যা, চোখ ও মাথা ব্যথা সহ তাৎক্ষণিক প্রায় ১১২ রকমের রোগের সহজ সমাধান করতে আকুপ্রেশার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে জানানো হচ্ছে। পুলিশ কর্মীরা সময়ের অভাবে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম, প্যারেড করতে পারেন না। সেক্ষত্রে আকুপ্রেশার চিকিৎসা অবলম্বন করে কর্তব্যরত সময়েই অফিসের চেয়ারে বসে কিংবা টহলদারি ভ্যানে যাওয়ার সময় এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন। প্রাচীন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের শরীর চাঙ্গা রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যাদের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পুলিশ প্রথমেই যোগাযোগ করে সেই জেলার বিভিন্ন থানায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছেন।