হার্টের অসুখ। শুনলেই টেনশন ঘিরে ধরে। প্রথমে এই ভয় থাকে প্রিয়জনদের নিয়ে, তারপর যত বয়স বাড়ে তত সেই ভয় ওঠে নিজের জন্য। তবে হার্টের অসুখ বয়স মানে না। সাম্প্রতিককালে এ ব্যাপারে একের পর এক নজির দেখা গিয়েছে।
হার্ট সংক্রান্ত অসুখই হৃদরোগ। করোনারি হৃদরোগ, কার্ডিও মায়োপ্যাথি, উচ্চ রক্ত চাপ জনিত হৃদরোগ, হার্ট ফেইলিওর, হৃদপিণ্ডের ডান পাশ অচল হয়ে যাওয়া, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা, ভালভুলার ডিজিস সবই হার্টের অসুখের মধ্যে পড়ে।
হঠাৎ করে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়া, আচমকা অসুস্থ বোধ, দমের সমস্যা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামায় শ্বাসজনিত কষ্ট, বুকে চাপ ব্যথা, হাতে পায়ে ঝিনঝিন- এসব সমস্যা হলে বুঝতে হবে হার্ট এট্যাকের সংকট তৈরী হয়েছে। এক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
হৃদয়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শুরু থেকেই সচেতন হওয়া কর্তব্য। রোজকার জীবনযযাত্রায় নিয়ম মেনে চলা, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা খুব দরকার। এছাড়াও শরীরচর্চা, নিয়ম করে হাঁটা, অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। পরিশ্রম আর বিশ্রামের ভারসাম্য যেন বজায় থাকে।
নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। ব্লাড সুগার এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অত্যাধিক চিন্তা, টেনশন, স্ট্রেস হার্টে প্রভাব ফেলে। খুব বেশি মশলাদার খাবার, তেল ক্ষতিকর।
অনেক সময় সুস্থ মানুষেরও আচমকা হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে, তবে চিকিৎসকরা বলছেন এর সঙ্গে সাধারণত জিনের সম্পর্ক খুব নেই।
হার্টের যত্ন শুরু থেকেই নেওয়া উচিত। সঠিক লাইফস্টাইলের সঙ্গে নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে সর্তক থাকার সুযোগ পাওয়া যায়।
আনন্দলোক হসপিটালের কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসার জন্য তথ্য পাবেন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং হেল্পলাইনে।