তেলেঙ্গানার আলমপুর শহর। শহরটি দুই পুণ্যসলিলা নদী কৃষ্ণা ও তুঙ্গভদ্রার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। হায়দ্রাবাদ থেকে এই শহরের দূরত্ব দুশো পনেরো কিলোমিটার। শহরটি আসলে সুপ্রাচীন এক শাক্ততীর্থ। এটি একান্ন সতীপীঠের অন্যতম এক পীঠও বটে। কিংবদন্তি অনুসারে, এখানে ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শনে কর্তিত হয়ে দেবী সতীর একান্ন অঙ্গখণ্ডের মধ্যে উপরের দাঁতের পাটি পতিত হয়েছিল। এই পীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম, ‘জগুলাম্বা’। তিনি দেবী স্বয়ং পার্বতী-কালীরই এক তন্ত্রসাধিকা রূপ। দেবীর আসল নাম, ‘যোগীনুলা আম্মা’। এর অর্থ, ‘যোগিনীদের মাতা’। স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে দেবীর নাম ইতিহাসের কোন এক বাঁকে ‘যোগীনুলা আম্মা’ থেকে ‘জগুলাম্বা’ হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণা-তুঙ্গভদ্রাতীরের এই তীর্থ ‘দক্ষিণ কাশী’ নামে বিখ্যাত। দেবী ‘গৃহচণ্ডী’ নামেও অনেক ভক্তজনের কাছে পূজিতা হন। কেননা, এই দেবী আসলে গৃহের সুখশান্তির রক্ষাকারিণী দেবী বলেই যুগ যুগ ধরে ভক্তজনের শ্রদ্ধা ও পূজা পেয়ে আসছেন।
দেবীর সঙ্গে জুড়ে আছে হাজার বছরেরও বেশি পূর্বের মান্য ইতিহাস। জুড়ে আছে দেবীকে ঘিরে দেবীর মন্দিরকে ঘিরে অনেক কিংবদন্তিও। কিংবদন্তি ইতিহাস নয়। দেবী ও দেবস্থানের মাহাত্ম্য বিস্তারের জন্যই তাদের সৃষ্টি। প্রথমে কিংবদন্তিমালা বর্ণনা করে তারপর বলব মান্য ইতিহাসের কথা।
প্রথম কিংবদন্তিটি দেবীর মূর্তিরূপে আবির্ভাব সম্পর্কিত। পুরাণের যুগে বিখ্যাত এক ঋষি ছিলেন, যিনি ভগবান বিষ্ণুকে পুত্ররূপে লাভ করেছিলেন। সেই ঋষির নাম, জমদগ্নি। আর তাঁর স্ত্রীর নাম, রেণুকা। এবং তাঁদের পুত্রের নাম, পরশুরাম। তুঙ্গভদ্রাতীরের অরণ্যে তাঁদের আশ্রম।
রেণুকা প্রতিদিন মাটির কলসিতে করে ঋষির জন্য নিত্যপুজোর জল এনে দিতেন তুঙ্গভদ্রা থেকে। কিন্তু একদিন জল আনতে গিয়ে রেণুকা মুশকিলে পড়লেন। তিনি যে ঘাট থেকে জল আনেন, সেখানে দেখলেন রাজারানি একত্রে নেমে জলকেলি করে স্নান করছেন। তাঁদের স্নানের সময় এই ঘাটে জল নেওয়া শোভন নয়। তাই তিনি অপেক্ষা করতে লাগলেন তাঁদের অবগাহন সমাপনের। এদিকে অপেক্ষার জন্য ঋষির পূজার সময় অতিবাহিত হয়ে চলল। ঋষি অস্থির হয়ে উঠতে লাগলেন। অস্থিরতা বাড়তে বাড়তে চরম ক্রোধ জাগল তাঁর মনে।
ঋষি যখন ক্রোধে অন্ধ, তখন কলসিতে জল নিয়ে এলেন রেণুকা। পূজার সময় অতিবাহিত করে জল আনার জন্য ঋষি কোন প্রশ্ন করলেন না রেণুকাকে, জানতে চাইলেন না দেরির কারণ। সরাসরি পুত্রকে আদেশ দিলেন রেণুকাকে হত্যার। পুত্র পিতার আজ্ঞা পালন করলেন। পরশুরাম পরশুর আঘাতে মাতা রেণুকার দেহ দ্বিখণ্ডিত করলেন।
পুত্র আজ্ঞা পালনের পর ঋষি শান্ত হলেন। প্রশ্নহীন বাধ্য পুত্রের প্রতি অতিশয় তুষ্ট হলেন। পুরস্কার হিসেবে দিতে চাইলেন বর। বললেন, ইচ্ছেমতো বর প্রার্থনা করতে। তাতে পরশুরাম মাতার জীবন ফিরে চাইলেন। তখন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ঋষি জানালেন যে, প্রাণদানের ক্ষমতা তাঁর নেই। তবে পরমপুজ্যা হয়ে জগতে যাতে বেঁচে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা তিনি করবেন। তিনি বললেন, মর্তের মানুষ রেণুকার অঙ্গ দেবীর আসনরূপে চিরকাল পূজা পাবে। তখন ঋষির বাক্য সত্য করতে দেবী আদ্যাশক্তি স্বয়ং রেণুকার দেহকে আসন করে যোগিনীমাতারূপে তন্ত্রসাধিকার মূর্তিতে আবির্ভূতা হলেন।
এই কাহিনিতে আস্থা রেখে অনেকেই মনে করেন যে, এই দেবীমূর্তি স্বয়ম্ভূ। জাগ্রতা। পরবর্তীকালে এখানে সতীঅঙ্গ পতনের পর দেবীর পীঠ আরও মাহাত্ম্যময় হয়ে উঠেছে। তাঁদের ধারণা, এ আসলে দেবীরই ইচ্ছা!
পরের কিংবদন্তিটি জগুলাম্বা মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিতঃ
কাশীতে পুণ্যবতী নামে এক বিধবা বাস করত। সে ছিল শিবের দারুণ ভক্ত। একবার তার পূজায় সন্তুষ্ট হয়ে শিব তাকে এক পুত্রসন্তান দান করলেন। পুণ্যবতী পুত্রের নাম দিল, ‘রসসিদ্ধ’। পুত্র পেয়েও পুণ্যবতীর আতান্তরের সীমা রইল না। কেননা, বিধবা হয়েও সন্তান লাভ করায় পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে গঞ্জনা দিতে শুরু করলো, তার চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করলো। কেচ্ছার গন্ধ পেয়ে সারা শহরে যেন একেবারে ঢি ঢি পড়ে গেল। পুণ্যবতী মনে বড় আঘাত পেল। কলঙ্ক কারই বা ভালো লাগে! তার পুত্র যেহেতু দেবদত্ত, সুতরাং দেবতার কৃপায় সে অল্পদিনেই যুবক হয়ে উঠল। তখন পুণ্যবতী কলঙ্ক মোচনের ভার দিল পুত্রকে।
অমনি মাতার কলঙ্কমোচনের জন্য পুত্র তপস্যা শুরু করলো শিবের। একদিন শিব তুষ্ট হলেন। তাকে আদেশ দিলেন আলমপুরে সমস্ত দেবীদের জন্য একটি সোনার মন্দির নির্মাণের, বললেন, সেটা সম্পন্ন হলেই মাতার কলঙ্ক মোচন হবে। তখন দেবাদিদেবকে রসসিদ্ধ বলল যে, সে সাধারণ অনাথিনী এক বিধবার পুত্র, এত সোনা সে পাবে কোথায়, যা দিয়ে মন্দির নির্মাণ করা যায়! ভক্তের ভগবান এই কথা শুনে তাকে একটা কলসি দিলেন। বললেন, কলসিটি উপুড় করলেই জল বেরুবে, সেই জল পাথরের ওপর ঢাললে পাথর সোনা হয়ে যাবে।
আরাধ্যের আদেশ পেয়ে উপহার পেয়ে রসসিদ্ধ যখন মন্দিরের নির্মাণ অনেকটা এগিয়ে ফেলেছে, তখন একদিন সহসা বিলাসাত নামে এক রাজা সেই মন্দির আক্রমণ করে প্রায় ধ্বংস করে ফেলল। এমনকি, শিবের দেওয়া অলৌকিক জলের কলসিটিও ছিনিয়ে নিল। এতে রসসিদ্ধ ভয়ানক ক্ষেপে গিয়ে রাজাকে অভিশাপ দিল। রুদ্রস্বরে বলল, শিগগিরই রাজার সমস্ত সম্পদ, সমস্ত সৈন্য নষ্ট হয়ে যাবে!
রসসিদ্ধের অভিশাপ ব্যর্থ হল না। সব হারিয়ে রাজা অরণ্যচারী হল। একদিন পথ ভুলে অরণ্যে জল ও আহারের খোঁজে হন্যে হয়ে যখন রাজা অত্যন্ত কাতর; তখন এক ব্যাধের সঙ্গে তার দেখা হল। ব্যাধ জল ও খাবার দিয়ে তার প্রাণরক্ষা করলো। এই সময় সহসা ব্যাধ অরণ্যে একটি হরিণকে দেখতে পেয়ে তাকে বধ করতে উদ্যত হল। কিন্তু হরিণ তখন কথা বলে উঠল, বলল যে, যদি ব্যাধ তাকে হত্যা করে তাহলে রাজা যে পাপে আজ সব হারিয়েছে, সেই পাপ ব্যাধেরও হবে। সেই পাপে সেও ভুগবে!
পাপের কথায় ব্যাধ ভয় পেল, নিরস্ত্র হল এবং হরিণকে অভয় দিল। এই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী রাজা এবার হরিণকে জিজ্ঞাসা করলো যে, কীভাবে রাজা তার পাপ থেকে মুক্তি পাবে? তখন হরিণ বলল যে, রসসিদ্ধের যে মন্দির রাজা ধংস করেছে, তা পুনরায় নির্মাণ করলে তবেই পাপমুক্তি হবে। এবার হরিণের কথায় রাজা রসসিদ্ধের কাছে ক্ষমা চেয়ে মন্দির পুনরায় নির্মাণ করে দিয়ে পাপমুক্ত হলেন।
দেবীর মন্দির প্রথম নির্মিত হয়েছিল হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে। তৈরি হয়েছিল রাজা দ্বিতীয় পুলকেশীর সময়। এই সময়কালের ইতিহাসকে বিকৃত করে তার সঙ্গে এক সময় রসসিদ্ধের কাহিনি মিলিয়ে আর একটি কিংবদন্তি তৈরি করা হয়েছিল। সেটি হলঃ
ষষ্ঠ শতাব্দীতে এই তীর্থে বাস করতেন রসসিদ্ধ নামের এক সাধক। তিনি যে-কোন ধাতুকেই সোনায় পরিণত করতে পারতেন। চালুক্য রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় পুলকেশীর সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত সখ্যতা ছিল। রাজা তখন এই তীর্থে ‘নব ব্রহ্ম’ মন্দির নির্মাণ করছিলেন। আয়ুর্বেদ-আচার্য শিবের ন’টি রূপের আলাদা আলাদা মন্দির, সেগুলোই ‘নব ব্রহ্ম’। এর সঙ্গেই নির্মিত হয়েছিল দেবী জগুলাম্বার মন্দিরও। রসসিদ্ধ তান্ত্রিক ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আয়ুর্বেদের সাহায্যে নাকি শিবলিঙ্গ ও দেবীর মুখ থেকে পারদ বের করতে পারতেন। এই পারদ বাইরে বেরোলেই তা নাকি সোনায় পরিণত হত!
যাই হোক, গালগল্প পেরিয়ে এবার ইতিহাসে আসিঃ
দক্ষিণ ভারতের অনেক রাজা অনেক রাজবংশের শাসনের মধ্য দিয়ে আলমপুর বিখ্যাত তীর্থ হিসেবে সমৃদ্ধ হয়েছে। রাষ্ট্রকূট, সাতবাহন ইক্ষ্বাকু, বাদামি চালুক্য, কল্যাণী চালুক্য, বিজয়নগরের রাজারা, কাকতীয়গণ, গোলকুণ্ডার কুতুবশাহী প্রভৃতি হিন্দু-অহিন্দু রাজবংশের দ্বারা শাসিত হয়েছে এই তীর্থ। চতুর্দশ শতকের প্রথমদিকে বাহমনি সুলতান সসৈন্যে আক্রমণ করে আসল মন্দিরটি ধ্বংস করেন। তাঁর আক্রমণে মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গর্ভগৃহে দেবীর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ভাঙা মন্দিরটি নতুন করে তৈরি হয় ৬১৫ বছর পর অর্থাৎ ২০০৫ সালে।
প্রাচীন মন্দিরটি ছিল একটি কারণে বিশেষ, সেটি হল এর নির্মাণ কৌশল। এটি দক্ষিণ ভারতের মন্দির হলেও এর নির্মাণশৈলীতে দক্ষিণের ছোঁয়া ছিল না; এটি সম্পূর্ণভাবেই নির্মিত হয়েছিল উত্তর ভারতীয় রীতিতে। এই অভিনবত্বের কৃতিত্ব বাদামি চালুক্য রাজবংশের। এই রাজবংশ দুশো বছর ধরে এই অঞ্চলে রাজত্ব করেছে সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দী জুড়ে। বর্তমানে যে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ হয়েছে তা বাইরে থেকে অনেকটা জগন্নাথ মন্দিরের ছোট্ট সংস্করণ। গর্ভগৃহের ওপর চূড়ার আকৃতি ও গড়ন একই রকম। মন্দিরের প্রবেশ মুখে তৈরি হয়েছে একটি গোপুরম। মন্দিরের পাথর নির্মিত গায়ে অপূর্ব সুন্দর ভাস্কর্য রয়েছে, রয়েছে সুন্দর অলঙ্করণ। উল্লেখ্য যে, দেবীর এই মন্দির আদি শঙ্করাচার্য-এর স্মৃতিধন্য, তিনি এই মন্দিরে ‘শ্রীচক্র’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; যা আজও ভক্তজনের শ্রদ্ধার বস্তু হয়ে রয়েছে।
মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবীর আসন রুপোয় মোড়া। পিছনে দুই রুপোমোড়া থামের মাথায় সুন্দর নকশাদার খিলান। খিলানের ঠিক মধ্যিখানে যক্ষের মূর্তি। দেবীমূর্তি কালো গ্রানাইট পাথরে নির্মিত। দেবীর রূপে সামান্য বীভৎসতা আছে। নিরাভরণ প্রস্তরমূর্তিতে দেবী নগ্না, শবের উপর বসে তন্ত্রমতে সাধনায় লীন। তাঁর চারটি হাত। দুই হাতে অস্ত্র, এক হাতে তন্ত্রমালা, আর-এক হাতে রুধিরপূর্ণ করোটি। গলায় মুণ্ডমালা।
সাধারণত দেবীর গলা থেকে নীচের অংশ দেখা যায় না। নানান রঙের সিল্কের বস্ত্রে আবৃত থাকে। এই বস্ত্র নিত্যদিন পরিবর্তিত হয়। বস্ত্র নানান রঙের হতে পারে, কিন্তু তার মধ্যে লাল রঙের ব্যবহার একটু হলেও অবশ্যই থাকতে হয়। দেবীর মাথার চুলে গিরগিটি, ব্যাঙ, বিছে ও খুলি খোদাই করা। এই অংশটি রুপোর পাতে মুকুটের মতো করে মোড়া। মুকুটের ওপর চুলের ওপরের প্রাণিগুলো যথাস্থানে চিত্রিত করা আছে। দেবীর মুখ কিছুটা লম্বাটে। কপালে দুই ভুরুর ঠিক ওপরে এমাথা-ওমাথা পর্যন্ত বিস্তৃত হলুদ-চন্দনের প্রলেপ, তার নীচে রক্তরঙা সিঁদুরের ফোঁটা। দুই চোখ দীঘল, রুপোর ফলকে চিত্রিত। নাসিকা লম্বাটে। দুইখানি দক্ষিণ ভারতীয় নথ। একটি বাঁ দিকে, অন্যটি মধ্যিখানে। দেবী মা কালীর মতো জিভ বের করে রেখেছেন। দুই কষে বেরিয়ে আছে দুই করাল দাঁত। তাঁর গলায় রত্নবিজড়িত বেশ কয়েকটি সোনার মালা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বেশ মোটা ফুল ও পাতা দিয়ে নির্মিত মালা। দেবীর মূর্তি বীভৎস হয়েও বীভৎস নয়, এই মূর্তি ভক্তের মনে ভয় জাগায় না, এক অন্য সম্ভ্রম জাগায়, আত্মনিবেদনের মধ্য দিয়ে আশ্রয় চাইতে প্রাণিত করে।
আগেই বলেছি, দেবী এখানে শবের উপর উপবিষ্ট অর্থাৎ দেবী শবাসনা। তাঁর মাথায় বিছে, গিরগিটি এবং ব্যাঙ। এই তীর্থের মাহাত্ম্য ‘স্কন্দ পুরাণ’-এ বর্ণিত হয়েছে। দেবীর মাথায় এই যে গিরগিটি, বিছে, মাথার খুলি এবং ব্যাঙ; তন্ত্রমতে এ-সবই অশুভশক্তি, এগুলোকে গৃহের অশান্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। ভক্তজনের বিশ্বাস, দেবী এ-সব অশুভশক্তিকে দূরে রেখে জগতের মঙ্গল করেন।
দেবীর মন্দিরে মহাশিবরাত্রি, দশেরা খুব ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়। জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত বিশেষ পূজা ও নবরাত্রি উৎসব। তাছাড়া বারো বছরে একবার এখানে ‘কৃষ্ণা পুস্করালু’ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় এই তীর্থের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তুঙ্গভদ্রা ও কৃষ্ণা নদীর জলে স্নান করে দেবীর পায়ে অর্ঘ্য নিবেদন করলে জীবনের সমস্ত পাপ, সমস্ত কলুষ থেকে মুক্ত হওয়া যায় বলেই ভক্তজনের বিশ্বাস। ফলে, এই সময় সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন, শ্রদ্ধা, পূজা ও নিবেদনে এই তীর্থকে এক মহান মোক্ষতীর্থের রূপ নেয়, দেবী দেন মোক্ষের সন্ধান।...